উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্র। পুলিশ কর্তাদের পিছনে দাঁড়িয়ে ধৃত বিধান। নিজস্ব চিত্র।
গাইঘাটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় পাচার-সহ নানা দুষ্কর্ম চালাচ্ছিল একটি চক্র। যার মাথাকে অবশেষে গ্রেফতার করল গাইঘাটা থানার পুলিশ। তাকে জেরা করে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
বুধবার দুপুরে একটি নির্দিষ্ট সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে গাইঘাটা থানার ওসি অনুপম চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশ একটি দল স্থানীয় ঠাকুরনগর রেলগেট এলাকা থেকে বিধান সরকার নামে ওই দুষ্কৃতীকে গাঁজা পাচারের সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে। বিধানের বাড়ি স্থানীয় সীমান্ত-লাগোয়া কাহনকিয়া গ্রামে। তার কাছ থেকে পুলিশ সাড়ে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। মাদক পাচারের নির্দিষ্ট মামলা রুজু করা হয়। শুক্রবার তাকে বারাসত জেলা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশি হেফাজতে বিধানকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, তার বাড়িতে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র মজুত আছে। সেই মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। শুক্রবার গাইঘাটা থানায় তদন্তে আসেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় ও গাইঘাটার সিআই পার্থ সান্যাল। সাংবাদিক সম্মেলনে অভিজিৎবাবু জানান, বিধানের বাড়ি থেকে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৫ রাউন্ড গুলি ও চারটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে আধুনিক নাইন এমএম, সেভেন এমএম, রিভলভার, পাইপগান। তিনি বলেন, ‘‘কেন সে এত অস্ত্র মজুত করেছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর বাষট্টির বিধান দীর্ঘ দিন ধরেই কাহনকিয়া, বর্ণবেড়িয়া, আংরাইল, ঝাউডাঙা সীমান্ত এলাকায় নানা অপরাধমূলক কাজ সংগঠিত করছিল। মূলত গরু পাচার ও আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের সঙ্গে সে জড়িত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। অতীতে বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছে।
বিধানের গ্রেফতারের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই সক্রিয় ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ খুব ভাল কাজ করেছে। বিধান গরু পাচারের পাশাপাশি বাংলাদেশে অপরাধ ঘটিয়ে আসা দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দিত। আমরা বহু দিন ধরেই পুলিশের কাছে ওকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy