সোনারপুরে পথচারীদের সতর্ক করছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুজোর পর কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেড়েছে কোভিডের দৈনিক সংক্রমণ। বুধবার রাজ্য সরকারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৬ জন। নতুন করে গন্ডিবন্ধ এলাকা তৈরি করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতেও রাস্তাঘাটে, দোকানে-বাজারে অনেকেরই মুখ-নাক ঢাকা থাকছে না মাস্কে। পুলিশও সচেতনতা প্রচারের পাশাপাশি মাস্ক না পরে বেরনোর জন্য গ্রেফতারও করছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর-রাজপুরে বেড়েছে সংক্রমিতের সংখ্যা। সেখানে তিন দিনের জন্য লকডাউনের মতোই কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতি, শুক্র, শনিবার সেখানে বাজার-দোকান বন্ধ থাকবে সেখানে। তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানগুলি খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ওই এলাকার রাস্তাঘাটে লোকজন ছিল কম। সোনারপুর থানার আইসি সঞ্জীব চক্রবর্তীর নেতৃত্বে অভিযান চালায় পুলিশ। বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্যও জন সাধারণকে আবেদন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউন না মানায় এবং মাস্ক না পরে না বেরনোর কারণে ৪২ জনকে আটক করা হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো উত্তর ২৪ পরগনাতেও গত কয়েক দিনে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। মাস্ক নিয়ে রাস্তায় বেরলেও অনেকের মুখেই তার দেখা মিলছে না। কেউ আবার পুলিশকে দেখেই তড়িঘড়ি করে মাস্ক থুতনি থেকে তুলছেন মুখে। ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশও। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই বারাসত জেলা পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। বুধবার সন্ধ্যা থেকে এখনও পর্যন্ত ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বারাসত জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ রকম ধরপাকড় আগামী দিনেও চলবে।
দুই পরগনার মতো হুগলির বিভিন্ন পুর এলাকায় তৈরি করা হয়েছে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা। শ্রীরামপুর পুরসভার সাতটি ওয়ার্ডকে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের পুর প্রশাসক গৌরমোহন দে পুরকর্মীদের নিয়ে সচেতনতার প্রচার করেছেন। গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে পুরসভার তরফে। মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পুরসভার তরফে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৌরমোহন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy