বাইকবাহিনী, মদ্যপ যুবক ও রোমিওদের দৌরাত্ম্যে সন্ধ্যার সময় বাড়ি থেকে বেরোতে পারছিলেন না মহিলারা। ওই সমস্ত রোমিওদের হাতে হেনস্থা হওয়া থেকে কটূক্তি শোনার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। সে কারণে পুলিশ মদ্যপ যুবকদের ধরপাকড় শুরু করেছিল। শুক্রবার ওই খবর আনন্দবাজারে প্রকাশিত হওয়ার পরে হাবরার পুলিশ আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দিন বিকেল ৪টা নাগাদ পাঁচটি বাইকে দশজন পুলিশ কর্মী স্থানীয় দক্ষিণ হাবরা, ঝরঝরিয়াতলা, বাণীপুর চৌমাথা, ২ নম্বর রেলগেট, উত্তর হাবরা, নগরউখরা মোড় ও কামারথুবা, হিজলপুকুর এলাকায় তল্লাশি চালায়। স্থানীয় চোংদা মোড়েও যশোর রোডে বাইক থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। এতদিন মূলত শহরের বাজার এলাকাগুলিতেই পুলিশ টহল ও তল্লাশি চলছিল। কিন্তু শুক্রবার থেকে বাজার এলাকা ছাড়াও পাড়ার ভিতরের রাস্তাতেও তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অনেক মদ্যপ বাইক আরোহী প্রধান সড়ক ছেড়ে পাড়ার রাস্তা দিয়ে যাতায়াত শুরু করেছিল। কিন্তু পুলিশ ওই সব রাস্তায় তল্লাশি চালানোর পরে তাঁদের উপদ্রব আর নেই। এতদিন পুলিশের দুটি বাইক রাস্তায় টহল দিত। শুক্রবার থেকে সংখ্যাটা পাঁচ করা হয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশের দুটি গাড়ি সর্বত্র টহল দিচ্ছে। যা দেখে পথ চলতি মানুষের কথায়, ‘‘কাগজে খবর বেরোতে এতদিনে পুলিশের টনক নড়েছে। কিন্তু আমরা চাই এমন তল্লাশি ও টহলদারি সারা বছর চলুক।’’
পুরপ্রধান নীলিমেষ দাস বলেন, ‘‘পুলিশ এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু আমরা চাই সব সময়ই যেন এমন নজরদারি থাকে। আশা করি তাঁরা ওই বিষয়ে সচেষ্ট থাকবেন।’’
উপুর্যপরি টহলদারিতে সুফল মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। একদিনেই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২১ জন জুয়াড়ি, ৬ জন মদ্যপ, ৩ জন চোলাই বিক্রেতাকে গ্রেফতার ও ৬টি বাইক আটক করা হয়েছে। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় দেড়শো লিটার চোলাই ও দেশি মদ। হাবরা থানা সূত্রে খবর, এলাকার ৩৬টি স্কুল ও ২০টি ব্যাঙ্কের সামনে নজরদারি চালানো হয়েছে। এলাকার পাঁচটি পানশালার সামনেও সমানে নজরদারি চলছে। মদ খেয়ে বেরিয়ে বেয়াদপি করলেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে। এমন অভিযান লাগাতার চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy