Advertisement
১১ মে ২০২৪
সোনারপুর

শিশুর গলায় ভোজালি ধরে লুঠ

শেষরাতে জানলা ভেঙে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। ১১ মাসের ঘুমন্ত শিশুর গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে আলমারির চাবি ছিনিয়ে নেয় তারা। আতঙ্কিত বাড়ির লোককে দিয়েই দোতলায় বাড়িওয়ালার নাম ধরে ডাকিয়ে দরজা খুলিয়ে সেখানেও চড়াও হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৫ ০০:০১
Share: Save:

শেষরাতে জানলা ভেঙে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। ১১ মাসের ঘুমন্ত শিশুর গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে আলমারির চাবি ছিনিয়ে নেয় তারা। আতঙ্কিত বাড়ির লোককে দিয়েই দোতলায় বাড়িওয়ালার নাম ধরে ডাকিয়ে দরজা খুলিয়ে সেখানেও চড়াও হয়। পরপর দু’জায়গায় লুঠপাট চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার, সোনারপুর থানার তেঁতুলবেড়িয়ার ঘটনা। দুই পরিবারের কাছ থেকে নগদ টাকা, গয়না ও দামি মোবাইল লুঠ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অমূল্যরতন চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির বাড়ির একতলায় ভাড়া থাকেন পেশায় শিক্ষক বিলাস ঘোষ। বিলাসবাবুর অভিযোগ, পাশের ঘরে জানলার গ্রিল ভেঙে ঢোকে সাত জনের দুষ্কৃতী দলটি। তার পরে তাঁর ঘুমন্ত শিশুপুত্রকে মাটিতে নামিয়ে গলায় ভোজালি ধরে আলমারির চাবি কেড়ে নেয়। আলমারি থেকে লুঠ করে নেয় নগদ টাকা ও গয়না। ওই শিক্ষকের কথায়, ‘‘টাকা লুঠের পরে আমাকে, আমার স্ত্রী ও শাশুড়িকে শৌচাগারে বন্ধ করার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। আমরা কাকুতি-মিনতি করি, চেঁচাব না। তার পরে ওরা আমাকে ছাড়া সবাইকে ঘরে বন্ধ করে দেয়। এক দুষ্কৃতী ভোজালি নিয়ে ওই ঘরে থেকে যায়।’’

বিলাসবাবু জানান, এর পরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে দোতলায় বাড়িওয়ালার দরজার সামনে নিয়ে যায়। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা আমাকে অমূল্যবাবুর নাম ধরে ডাকতে বলে। বেশ কয়েক বার ডাকার পরে অমূল্যবাবুর ছেলে অনিরুদ্ধ দরজা খুলতেই দুষ্কৃতীরা তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ধস্তাধস্তি বাধলে অনিরুদ্ধের হাতে ভোজালির কোপ মারার চেষ্টাও করে ওই দুষ্কৃতী। জখম হন অনিরুদ্ধ।’’ পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা অমূল্যবাবুর কাছ থেকেও চাবি নিয়ে আলমারি খুলে নগদ টাকা ও গয়না লুঠ করে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, একতলায় একটি ঘরে বিলাসবাবু কোচিং ক্লাস করান। ওই ঘরে একটি জানলার পাল্লা ভাঙা ছিল। তার গ্রিল ভেঙেই দুষ্কৃতীরা ভিতরে এসেছে বলে জানায় পুলিশ। স্থানীয় কোনও দুষ্কৃতীর দলই এতে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। সোনারপুর থানার পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অফিসারদের একটি দল তদন্ত শুরু করেছে। দুই পরিবারের সদস্যদের স্থানীয় কিছু দাগি দুষ্কৃতীর ছবি দেখানো হয়েছে। তা ছাড়া, দুই পরিবারের সদস্যদের বিবরণ অনুযায়ী দুষ্কৃতীদের ছবি আঁকানো হয়েছে বলে জানান দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পুলিশকর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Robbery Sonarpur coaching center teacher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE