Advertisement
০৩ মে ২০২৪
joynagar

‘বহিরাগতের এন্ট্রি নেই’! আবার জয়নগরের গ্রামে ঢুকতে বাধা বামেদের, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হন। মসজিদে যাওয়ার পথে আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। ওই ঘটনার অব্যবহিত পরে দোলুয়াখাকি গ্রামে কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরানো হয়।

Sayan Banerjee in Joynagar

পুলিশি বাধায় সিপিএম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জয়নগর শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৪৬
Share: Save:

আবার জয়নগরের দোলুয়াখাকি গ্রামে ঢুকতে বামেদের বাধা দিল পুলিশ। এ নিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি গুদামের হাট এলাকায়। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে গ্রামে ঢুকতে গিয়ে প্রায় হাতাহাতিতে জড়ান বাম প্রতিনিধিরা। আবার পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিপিএম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়রা। অন্য দিকে, পুলিশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শান্তি বজায় রাখার জন্য বহিরাগতদের তারা প্রবেশ করতে দেবে না।

গত সোমবার জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হন। মসজিদে যাওয়ার পথে আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। ওই ঘটনার অব্যবহিত পরে দোলুয়াখাকি গ্রামে কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। জিনিসপত্র ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। এমনকি, মহিলাদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে যায় গ্রামের কয়েকটি বাড়ি। সিপিএমের দাবি, তাদের কর্মী এবং সমর্থকদের বাড়ি বেছে বেছে আগুন ধরানো হয়েছে। এর নেপথ্যে তৃণমূলকে দায়ী করে তারা। আগুন লাগানোর ঘটনায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধীরে ধীরে ওই বাড়িগুলোর বাসিন্দাদের ঘরে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তার মধ্যে ত্রাণ দিতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ প্রতিনিধিরা। রবিবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল সেখানে। পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে ত্রাণ নিয়ে দোলুয়াখাকি গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেন কয়েক জন। কিন্তু গ্রামে ঢোকার আগে গুদামের হাট মোড়ে তাঁদের আটকায় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বামকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।

এ নিয়ে সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী সায়ন বলেন, ‘‘আমরা ত্রাণ নিয়ে এসেছিলাম। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি নেই। কিন্তু তার পরেও আমাদের আটকাচ্ছে পুলিশ।’’ মহিলা সমিতির নেত্রী মোনালিসা সিংহের অভিযোগ, দোলুয়াখাকি এলাকার মহিলারা খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের এবং শিশুদের জন্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস শুধু পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাতেও আপত্তি জানায় পুলিশ। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশ শাসকদলের তাঁবেদারি করছে। সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।’’

যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বারুইপুর এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামের লোক ছাড়া অন্য কোনও বহিরাগত এলাকায় ঢুকবে না। শুধুমাত্র পুলিশকর্মীরাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE