Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
father

‘মায়ের গায়ে হাত তুলবে কেন’? ব্যারাকপুরে বাবাকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ নাবালক পুত্রের!

পুলিশ সূত্রে খবর, আহতের নাম পরিতোষ বিশ্বাস। সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন তিনি। পরিতোষের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে পারিবারিক অশান্তি থেকেই ওই ঘটনা ঘটেছে।

accident

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪ ১১:৪৭
Share: Save:

বাবা প্রায়শই মাকে মারধর করতেন। ছেলেকেও ভয় দেখাতেন। দিনের পর দিন বাবার এই আচরণ সহ্য করতে না পারে তাঁকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারার অভিযোগ উঠল নাবালক ছেলের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুর আনন্দমঠ এলাকার ঘটনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী।

পুলিশ সূত্রে খবর, আহতের নাম পরিতোষ বিশ্বাস। সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন তিনি। পরিতোষের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে পারিবারিক অশান্তি থেকেই ওই ঘটনা ঘটেছে। পরিতোষকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে তাঁর নাবালক পুত্র। যদিও অভিযুক্ত মারধরের কথা অস্বীকার করেছে।

ছেলের দাবি, প্রতি দিনই মা এবং তাকে ‘ভয়’ দেখান বাবা। কখনও ছুরি নিয়ে চড়াও হন। যখন-তখন মাকে মারধর করেন। মঙ্গলবার রাতেও মাকে বেধড়ক মারধর করছিলেন বাবা। সে তার প্রতিবাদ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘ওই ভদ্রলোক ছেলেকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখাতেন বলে অভিযোগ। স্ত্রীকেও মারধর করতেন। ঝগড়াঝাঁটি প্রায়সই হয় ওই বাড়িতে। তবে সেখান থেকে যে এত বড় ঘটনা ঘটে যাবে ভাবিনি।’’ অন্য দিকে, অভিযুক্ত ছেলে বলে, ‘‘আমি পড়াশোনা করছিলাম। হঠাৎ মাকে মারধর করছিল। আমি বাপিকে বললাম, ‘থামো’। তখন আমাকে বলল, ‘আজ তোর মাকে মেরেই ফেলব।’ আমি ছুরি ছাড়িয়ে নিতে যাই ওর হাত থেকে। তখনই লেগে গিয়েছে। আমি কিছু করিনি। বাবা এখন মিথ্যা বলছে।’’

তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে প্রাক্তন সেনাকর্মীর পুত্রকে আটক করেছে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। পাশাপাশি, জখম পরিতোষকে ব্যারাকপুপ বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

father son barrackpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE