গ্রামের রাস্তাঘাট আর আগের মতো নেই। পিচ অথবা কংক্রিটের হয়েছে। এই সব রাস্তায় পুলিশের নজরদারিও কম। ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া বাইক ও অন্য যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে এ বার স্পিড ব্রেকার বসানোর কাজ শুরু করল ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ড।
২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি ভাঙড় কলকাতা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত হয়। আগের তুলনায় ভাঙড়ের বিভিন্ন রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা কমলেও, দুর্ঘটনা সম্পূর্ণ রোধ করা যাচ্ছে না। অভিযোগ, বাসন্তী হাইওয়ে-সহ প্রধান রাস্তাগুলিতে পুলিশের কড়ানজরদারি থাকলেও গ্রামীণ রাস্তাগুলিতে তেমন নজরদারি থাকে না। ফলে ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজার থেকে সাতুলিয়া আবু হুদা রোড, ভাঙড়-কাঁঠালিয়া, ভাঙড়-লাউহাটি, চণ্ডীহাট, মাঝেরহাট রাস্তা, ঘটকপুকুর-সোনারপুর রোড, সুন্দিয়া রাস্তা, শোনপুর খাল পাড়ের হাতিশালা-জামিরগাছি রাস্তা-সহ বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ।
ট্র্যাফিক গার্ড সূত্রের খবর, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত, প্রায় এক বছরে ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ড এলাকায় ৫৫-৬০টি ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। মাসে গড়ে প্রায় ৪-৫টি করে দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে এক বছরে দুর্ঘটনায় প্রায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালে ভাঙড়ের বিভিন্ন রাস্তায় দুর্ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যাটা কমে ১৬ জন হয়।
এ বার ভাঙড়ের বিভিন্ন দুর্ঘটনা প্রবণ রাস্তা চিহ্নিত করে চন্দনেশ্বর-ঘটকপুকুর রাস্তা, সুন্দিয়া স্কুলের রাস্তা, সাঁইহাটি, পানাপুকুর-আবু হুদা রাস্তা, ভাঙড়-লাউহাটি রোড বিভিন্ন রাস্তায় কালো-হলুদ রঙের স্পিড ব্রেকার বসানো হচ্ছে ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ডের উদ্যোগে।
এ বিষয়ে ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ডের এক কর্তা বলেন, ‘‘গত বছরের তুলনায় এ বছর দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কমানো গিয়েছে। কিন্তু তার পরেও মানুষের অসচেতনতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে।দুর্ঘটনা কমাতে আরও বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে নতুন করে স্পিড ব্রেকার বসানো হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)