Advertisement
E-Paper

স্কুলে হঠাৎ আগুন, আতঙ্ক

এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে নিউ ব্যারাকপুরের কিশলয় অ্যাকাডেমি নামে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কী করে আগুন লাগল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও দমকল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৮ ০১:৪১
দগ্ধ: এ ভাবেই পুড়ে গিয়েছে ক্লাসরুম। বুধবার, নিউ ব্যারাকপুরের কিশলয় অ্যাকাডেমিতে। ছবি: সুদীপ ঘোষ

দগ্ধ: এ ভাবেই পুড়ে গিয়েছে ক্লাসরুম। বুধবার, নিউ ব্যারাকপুরের কিশলয় অ্যাকাডেমিতে। ছবি: সুদীপ ঘোষ

একই ভবনে সকাল এবং দুপুর দু’বেলা চলে নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত দু’টি বিভাগ। মাঝে এক ঘণ্টার ফাঁক। সেই সময়ের মধ্যেই স্কুলে লেগে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়াল। দমকল সূত্রে খবর, বুধবার সকালের বিভাগ ছুটি হওয়ার সময়ে ঘটনাটি ঘটায় কিছু খুদে পড়ুয়ারা স্কুল থেকে বেরোচ্ছিল তখন। দুপুরের স্কুলের কোনও কোনও পড়ুয়া একটু আগেই চলে এসেছিল। তারাও ছিল স্কুলের ভিতরে। ফলে বড় কোনও ক্ষতি না হলেও এই আগুন ঘিরে বেশ আতঙ্ক ছড়ায়।

এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে নিউ ব্যারাকপুরের কিশলয় অ্যাকাডেমি নামে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কী করে আগুন লাগল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও দমকল।

দমকল ও স্থানীয় সূত্রে খবর, নিউ ব্যারাকপুর স্টেশনের কাছে পূর্ব দিকে রয়েছে ওই স্কুলটি। সেখানে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ থাকে। এ দিন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনতলার একটি ঘরে প্রথমে আগুন লাগে। ফাঁকা ঘরটির জানালা থেকে আগুনের শিখা বেরোতে দেখেই ছড়ায় আতঙ্ক। কিছু ক্ষণেই স্কুলের তিনতলার ঘরটি দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। এমনিতেই ওই এলাকাটি ঘন জনবসতিপূর্ণ। আগুনের আঁচ পৌঁছয় আশপাশের ফ্ল্যাটেও। স্কুল থেকে বেরোতে গিয়ে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় পড়ুয়াদের মধ্যে। শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ভয়ে নীচে নেমে আসেন। এক পড়ুয়ার অভিভাবক বলেন, ‘‘ভয়ে কাঁপতে শুরু করেছিল আমার চার বছরের ছেলে। কোনওমতে আমার ছেলে এবং অন্য কয়েক জন ছাত্রকে বার করে আনি।’’

ইতিমধ্যেই স্থানীয় কয়েক জন আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। ছুটে আসে পুলিশ ও দমকল। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নেভায়। তিনতলায় যে ফাঁকা ঘরটিতে এ দিন আগুন লাগে সেখানে কাঠ, বে়ঞ্চ, বেড়ার মতো দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল বলে অভিযোগ জানান স্থানীয় মানুষ। আরও অভিযোগ, একেবারে ঘন বসতিপূর্ণ ওই এলাকায় ছোট ছেলেমেয়েদর এমন স্কুলেও আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। তবে তা স্বীকার করেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষিকা কুহেলী দত্ত বলেন, ‘‘কী ভাবে আগুন লাগল তা জানা যায়নি। তবে পড়ুয়াদের কিছু হয়নি।’’ এ দিন মধ্যমগ্রাম দমকলের আধিকারিক চন্দন দাস বলেন, ‘‘কী ভাবে আগুন লাগল এবং স্কুলের কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

School classroom
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy