Advertisement
E-Paper

ছেলের বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক, খুন তরুণকে

ঘটনাটি স্বরূপনগরের সীমান্তবর্তী এলাকা বালতি গ্রামের। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, স্থানীয় বল্লিরবিল এলাকায় একটি ভেড়িতে দেহ ফেলে দিয়ে এসেছিল তারা। সেখানে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২০
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

ছেলের বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মা। জানাজানি হওয়ায় বন্ধুকে সাবধান করেছিল ছেলে। কিন্তু ‘সম্পর্ক’ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছিল না বছর আঠারোর তরুণ অভিজিৎ সরকার।

তারই জেরে ওই মহিলার ছেলে ও তাঁর বাবা মিলে অভিজিৎকে পিটিয়ে, গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। বিশাখা খাঁ নামে ওই মহিলাই ফোনে অভিজিৎকে ডেকে এনেছিলেন বলে অভিযোগ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকেও। তবে ‘দেহ’ এখনও উদ্ধার হয়নি।

ঘটনাটি স্বরূপনগরের সীমান্তবর্তী এলাকা বালতি গ্রামের। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, স্থানীয় বল্লিরবিল এলাকায় একটি ভেড়িতে দেহ ফেলে দিয়ে এসেছিল তারা। সেখানে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। যে জায়গায় দেহ ফেলা হয়েছে বলে সাহেব জানিয়েছে, সেখানটি কচুরিপানায় ঢাকা। খারাপ আবহাওয়ার জন্য তল্লাশি ব্যাহত হয়েছে সোমবার। কচুরিপানা সাফ করে আজ, মঙ্গলবার তল্লাশির চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার ধৃতদের বসিরহাট এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক সকলকে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালতি গ্রামে পাশাপাশি দু’পাড়ায় থাকেন শান্তি সরকার ও সুশান্ত খাঁ। শান্তির ছেলে অভিজিতের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল সুশান্তর ছেলে সাহেবের। সেই সূত্রে বাড়িতে যাতায়াত। পুলিশ জানতে পেরেছে, মাস দু’য়েক আগে রাতের দিকে বিশাখার ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরোন অভিজিৎ। তারপর থেকে খোঁজ মিলছিল না তাঁর।

সব জানিয়ে থানায় অভিযোগ করেন শান্তিবাবু। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিজিতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল বিশাখার। সে কথা জানাজানি হওয়ায় দুই পরিবারের সম্পর্ক নষ্ট হতে শুরু করে। সাহেবের সঙ্গে অভিজিতেরও মনোমালিন্য শুরু হয়।

অভিজিতের মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়, ওই যুবকের অন্তর্ধানের পিছনে খাঁ পরিবারের হাত আছে। এরপরেই সুশান্ত, বিশাখা এবং সাহেবকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় ভেঙে পড়ে সাহেব খুনের কথা স্বীকার করেছে। মায়েরও তাতে মত ছিল বলে জানিয়েছে।

পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার রাতে বিশাখা ফোন করে অভিজিৎকে বাড়িতে ডেকে পাঠায়। সেখানেই অভিজিৎকে বাঁশ-লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারে বাবা-ছেলে। পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে আততায়ীরা। দেহ লোপাট করতে নৌকোয় তুলে ভেড়ির জলে ফেলে দেওয়া হয়।

Teenage boy murder extra-marital affair Swarupnagar স্বরূপনগর Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy