Advertisement
E-Paper

চার রাত পরে স্বস্তি ফিরল খড়দহে

শেষমেশ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেচ দফতরের শ্রমিকেরা ক্যাম্প ঘাটের পাশে বহুতলের সামনের অংশ প্রথমে এক সারি শাল খুঁটি দিয়ে ঘিরে দেন। তার পরে বালির বস্তা ফেলা হয় মাঝের অংশে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৭ ০২:০৬
নির্মাণ: শাল খুঁটি বেঁধে চলছে বাঁধ তৈরি। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

নির্মাণ: শাল খুঁটি বেঁধে চলছে বাঁধ তৈরি। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

চার রাত কার্যত জেগে কাটানোর পরে হাঁফ ছাড়লেন খড়দহের ক্যাম্প ঘাটের বাসিন্দারা। রবিবার রাত থেকে গঙ্গার ভাঙনে অল্প অল্প করে তলিয়ে যেতে শুরু করেছিল পাড়ের একাংশ। বাসিন্দারা ভয় পাচ্ছিলেন, তাঁদের বাড়িও বুঝি গিলে নেবে গঙ্গা। বুধবার অস্থায়ী বাঁধ তৈরির কাজ প্রাথমিক ভাবে শুরু হলেও জল বাড়তে থাকায় এবং বৃষ্টিতে তা খুব বেশি এগোয়নি।

শেষমেশ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেচ দফতরের শ্রমিকেরা ক্যাম্প ঘাটের পাশে বহুতলের সামনের অংশ প্রথমে এক সারি শাল খুঁটি দিয়ে ঘিরে দেন। তার পরে বালির বস্তা ফেলা হয় মাঝের অংশে। কিন্তু দ্বিতীয় সারি শাল খুঁটি পোঁতার আগেই জোয়ার আসায় কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়। পুরসভা জানিয়েছে, আজ, শুক্রবার ভাটার সময়ে ফের আর এক সারি শাল খুঁটি পোঁতা হবে।

এ দিন সকাল থেকে বাঁধ তৈরির কাজ তদারকি করেন সেচ দফতরের বাস্তুকারেরা। স্থানীয় বাসিন্দা রাজীব পোদ্দার বলেন, ‘‘চার দিন পরে রাতে একটু ঘুমোব। সেচ দফতর ও প্রশাসনের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। অস্থায়ী বাঁধ তৈরি হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাব, ক্যাম্প ঘাট থেকে বাবাজি ঘাট পর্যন্ত পাড় যেন স্থায়ী ভাবে বাঁধানো হয়।’’ খড়দহ পুরসভা জানিয়েছে, পাড়ের ১৫০ মিটার অংশ স্থায়ী ভাবে বাঁধানো হবে। পুজোর পরেই সেই কাজ শুরু হবে।

Flood Rainfall Dam খড়দহ বাঁধ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy