বনগাঁ পুরসভা নির্বাচনের জন্য সোমবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হল। তবে পুরসভার মোট ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
এ দিনই বনগাঁ মহকুমাশাসকের দফতরে ২১ জন তৃণমূল প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী পরে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। ২৫ মার্চ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। ২১ জন ঘোষিত প্রার্থীর মধ্যে নতুন মুখ আট জন। বর্তমানে দলের ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১০ জনকে দল এ বারও প্রার্থী করেছে। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন শহর তৃণমূল সভাপতি শঙ্কর আঢ্য। তিনি ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান জ্যোত্স্না আঢ্য। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন পুরসভার ভাইস চেয়াররম্যান কৃষ্ণা রায়। উল্লেখযোগ্য, কাউন্সিলর হিসাবে এ বার প্রার্থী হতে পারেননি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাপস মুখোপাধ্যায়। ওয়ার্ডটি এ বার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। নতুন মুখের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির বনগাঁ শাখার সহ সম্পাদক দিলীপ মজুমদার, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেত্রী মৌসুমী চক্রবর্তী ও কার্তিক মণ্ডল।
২০১০ সালের পুরভোটে তৃণমূল পেয়েছিল ৬টি আসন। নির্দল একটি ও কংগ্রেস ৫টি। পরে নির্দল ও কংগ্রেস কাউন্সিলরেরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২টিতে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তাপসবাবু প্রার্থী হতে না পারলেও ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন তাঁর বৌমা সোমাঞ্জনা মুখোপাধ্যায়। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর কবিতা বালার বদলে প্রার্থী হয়েছেন তাঁর স্বামী তথা বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত বালা। ৩ নম্বর ওয়ার্ডটি তপসিলি মহিলা হিসাবে সংরক্ষিত হওয়ায় বর্তমান কাউন্সিলর হিমাদ্রি মণ্ডলকে দল প্রার্থী করেছে ২ নম্বর ওয়ার্ডে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শম্পা মোহান্ত প্রার্থী হয়েছেন পাশের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডটি এ বার সাধারণ হিসাবে সংরক্ষিত। ফলে তিনি নিজের ওয়ার্ডেই দাঁড়াতে পারতেন। কিন্তু ১২ নম্বর ওয়ার্ডটি তপসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় বর্তমান কাউন্সিলর টুম্পা রায়কে ১১ নম্বরে প্রার্থী করেছে দল। একই ভাবে ১০ নম্বর ওয়ার্ডটি তপসিলি সাধারণ হিসাবে সংরক্ষিত হওয়ায় সেখানকার কাউন্সিলর কৃষ্ণাদেবীকে প্রার্থী ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী দীপ্তেন্দু বিকাশ বৈরাগীকে ১০ নম্বরে প্রার্থী করা হয়েছে। কৃষ্ণাদেবী সম্পর্কে টুম্পাদেবীর শাশুড়ি।