চন্দন দাস। নিজস্ব চিত্র
ফের গুলি চলল ভাটপাড়ায়। সোমবার রাতে ভাটপাড়ার রায়বাহাদুর রোডে এক তৃণমূল নেতাকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে বলে অভিযোগ। গুলি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি-র রাজনৈতিক চাপানউতর।
ভাটপাড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব সভাপতি চন্দন দাসের অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। গুলি চন্দনের আঙুল ছুঁয়ে চলে যায়। সামান্য জখম হন চন্দন। চন্দনকে নিয়ে যাওয়া হয় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। তাঁর দাবি, ‘‘হঠাৎ খুব জোরে আওয়াজ হয়। সেই সময় কানে তালা লেগে গিয়েছিল। তার পর দেখতে পাই রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আমরা প্রথমে কিছুই বুঝতে পারিনি। কপাল জোরে বেঁচে গিয়েছি। কারা হামলা চালিয়েছিল তা বুঝতে পারিনি।’’ চন্দনের দাবি, এর আগেও তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছিল।
হামলার পিছনে কারা? চন্দনের অভিযোগ, ‘‘আমরা প্রথম থেকে তৃণমূল করছি। অনেকে অর্জুন সিংহের সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা এখন তৃণমূলে আসতে চাইছেন। কিন্তু আমরা সেটা চাই না। সেই রাগ থেকে আমার উপর হামলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের ওয়ার্ডেই অনেকে এমন আছেন।’’ চন্দনের দাবি, হামলার আগে একটি হিন্দিতে লেখা একটি হুমকি চিঠিও দেওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। তাতে লেখা, ‘তুমি বড় নেতা হবে। আমরাও তোমার খবর নিয়ে নেব।’
চন্দনের উপর হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। পদ্মশিবিরের নেতা উমাশঙ্কর সিংহ বলছেন, ‘‘এই হামলায় বিজেপি-র কোনও হাত নেই। চন্দন দাসকে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এর অর্থ, এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। এখন কারও অত সাহস নেই যে তৃণমূলের উপরে চিঠি দিয়ে হামলা করবে।’’
ভাটপাড়ার তৃণমূল নেতা ধর্মপাল গুপ্ত বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে। তারা বিজেপি-র সমর্থক হতে পারে। এই হামলার পিছনে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কিছু নেই। বিধানসভা ভোটে যা ভুল হয়েছে, তার পর থেকে আমরা এখন কোনও বিজেপি সমর্থককে দলে নিচ্ছি না। পুলিশকে বিষয়টা জানিয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy