চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
সকালে অফিস টাইমে ট্রেনে ওঠা যায় না। যদিও বা ওঠা যায় তা হলে বাদুরঝোলা হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয়। সে কারণে ট্রেন বাড়ানোর দাবিতে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার শাখার হোটর স্টেশনে সকাল ৭টা থেকে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় সাত ঘণ্টা অবরোধ চলে। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার থেকে শিয়ালদহগামী যে ট্রেনগুলি যায় তাতে এত ভিড় হয় যে ভিতরে ঢোকার জায়গা থাকে না। গেটে ঝুলতে ঝুলতে যেতে হয়। বেশিক্ষণ ওই ভাবে গেলে হাত ফস্কে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অফিস যাত্রী ছাড়া ওই ট্রেনগুলিতে স্কুল কলেজ পড়ুয়ারাও ওঠেন। শুধু তাই নয় অনেক বৃদ্ধ বৃদ্ধারাও ওই ট্রেনগুলিতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে কলকাতায় যান। তাঁদের অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। অবিলম্বে ওই শাখায় ট্রেন বাড়ানোর দাবি নিয়ে এই বিক্ষোভ চলে।
পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। তবে এ ভাবে তো হঠাৎ করে ট্রেন বাড়ানো সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’’
এ দিন অবরোধের জেরে অফিস কর্মীরা কেউ কেউ অফিস যেতে পারেননি। আবার কেউ দেরিতে অফিস পৌঁছেছেন। স্কুল কলেজ পড়ুয়াদেরও হয়রান হতে হয়েছে।
হোটর স্টেশনে ট্রেন আটকে পড়ায় সকালে প্ল্যাটফর্মে ছিল থিকথিকে ভিড়। এতক্ষণ অবরোধ লায় অনেককে প্ল্যাটফর্মে বসেই দুপুরের ভাত খেতে দেখা গিয়েছে।
এ দিনের রেল অবরোধে সামিল ছিলেন কয়েক’শো পুরুষ ও মহিলা। রীতা কর্মকার নামে এক নিত্যযাত্রী বলেন, ‘‘সন্ধ্যা হালদারদের অভিযোগ ট্রেনের অভাবে আমরা প্রত্যেকদিন বাদুরঝোলা হয়ে যাতায়াত করছি। মাঝে মধ্যে ভিড়ের ঠেলায় ট্রেনে উঠতেও পারি না। সময় মত গন্তব্যেও পৌঁছতে পারি না।’’ আরও ট্রেন বাড়ানোর পাশাপাশি আলাদা শুধু মহিলাদের জন্য ট্রেন চালু করা উচিত বলে ওই মহিলার দাবি। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে এক যাত্রী বলেন, ‘‘দিন কয়েক আগেও ট্রেনে ঝুলে যাওয়ার সময় এক যাত্রীর পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা রুখতে অবিলম্বে ট্রেন বাড়ানো উচিত।’’
এই মুহূর্তে ওই শাখায় অতিরিক্ত কিছু ট্রেন দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে রবিবাবু জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy