Advertisement
E-Paper

সরিয়ে দেওয়া হল বাগদা ব্লক তৃণমূল সভাপতিকে

আলোচনাটা চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। অবশেষে বুধবার সরিয়ে দেওয়া হল বাগদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। নতুন ব্লক সভাপতি হিসাবে দায়িত্বভার দেওয়া হল ওই ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি তুলসি বিশ্বাসকে। তুলসিবাবু রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ হিসাবে এলাকায় পরিচিত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৫ ০২:১৮

আলোচনাটা চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। অবশেষে বুধবার সরিয়ে দেওয়া হল বাগদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। নতুন ব্লক সভাপতি হিসাবে দায়িত্বভার দেওয়া হল ওই ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি তুলসি বিশ্বাসকে। তুলসিবাবু রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ হিসাবে এলাকায় পরিচিত।

দিলীপবাবু ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১০ সালে বিধানসভা ভোটে জয়ী হওয়ার পর থেকেই উপেনবাবুর সঙ্গে দিলীপবাবুর নানা কারণে দুরত্ব তৈরি হয় বলে দলের অন্দরের খবর। সদ্য প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অনুগামীরা মনে করছেন, উপেনবাবুর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণেই দিলীপবাবুকে সভাপতির পদ খোয়াতে হয়েছে। যদিও উপেনবাবুর কথায়, “কাকে সভাপতি থেকে সরাবে, আর কাকে সভাপতি করবে সেটা দলের সিদ্ধান্ত। ওই বিষয়ে আমার কোনও মতামত নেই।”

বুধবার এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য বলেন, “প্রথম দু-তিন বছর ভাল ভাবে সাংগঠনিক কাজ করলেও কিছু দিন ধরেই দিলীপবাবু দলের ব্লক সভাপতি হিসাবে সঠিক ভাবে সংগঠন সামলাতে পারছিলেন না। সে কারণেই উপেনবাবুর অনুরোধে দিলীপবাবুকে সরিয়ে তুলসিকে সভাপতি করা হয়েছে।” তবে দলে দিলীপবাবুকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হচ্ছে না।” জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, আগামী দিনে বাগদা ব্লকে দলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে দিলীপবাবুদেরও প্রয়োজন হবে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “ব্লক সভাপতি থেকে সরানো হলেও দিলীপবাবুকে জেলা কমিটিতে নেওয়া হচ্ছে।”

কী বলছেন সদ্য অপসারিত সভাপতি?

তাঁর কথায়, “আমাকে সভাপতি থেকে সরানো হচ্ছে বা হয়েছে, তা দলের পক্ষ থেকে আমাকে কেউ জানায়নি। আমি সূত্র মারফত জানতে পেরেছি। দল যা ভাল বুঝেছে, তাই করেছে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। অতীতের মতো এখনও দলের একজন সৈনিক হিসাবে কাজ করে যাব।”

নতুন সভাপতি তুলসিবাবু বলেন, “এলাকায় যাঁরা দলের কাজ করতে চান, তাঁদের সকলকে নিয়েই কাজ করব। সংগঠনকে শক্তিশালী করাটাই আমার মূল লক্ষ হবে।”

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সভাপতির সভাপতি ঠিক করা বা স্থানীয় বিআর অম্বেদকর শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বাগদা ব্লকের মানুষ শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল দেখেছে। এমনকী, দু’টি গোষ্ঠীর সভা, পাল্টা সভা বা মিছিল, পাল্টা মিছিলও দেখেছেন এখানকার মানুষ। সদ্য শেষ হওয়া লোকসভার উপ-নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা ঠাকুর বাগদা থেকে ৩৭,৩৯১ ভোটে লিড পেয়েছিলেন। যা লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লিড ছিল। কিন্তু ওই ভোটে দিলীপবাবু ও তাঁদের গোষ্ঠীর কোনও নেতাকে প্রচারে তেমন ভাবে দেখা যায়নি। তারপরেও ভাল ফল হওয়ায় দলের অন্দরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, এ বার হয় তো দিলীপবাবুর বিদায় আসন্ন। বুধবার সেই গুঞ্জনেই দলের সিলমোহর পড়ল।

অপসারিত হয়ে দিলীপবাবু ও তাঁর অনুগামীদের কোন ভূমিকায় দেখা যাবে, সে দিকেই তাকিয়ে দলের স্থানীয় নেতৃত্ব।

southbengal bagda tmc
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy