Advertisement
E-Paper

সেপটিক ট্যাঙ্কে মৃত্যু দুই শ্রমিকের

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা পরিতোষ সর্দার নতুন বাড়ি তৈরি করছেন। একই সঙ্গে শৌচাগারের জন্য সেপটিক ট্যাঙ্কও তৈরির কাজ চলছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৯
এই ট্যাঙ্কেই ঘটে দুর্ঘটনা। গাইঘাটায়। নিজস্ব চিত্র

এই ট্যাঙ্কেই ঘটে দুর্ঘটনা। গাইঘাটায়। নিজস্ব চিত্র

বাড়িতে নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে কাজ করতে নেমে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও দু’জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার রামচন্দ্রপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম তরুণ বিশ্বাস (৩৫) ও বিকাশ দাস (৩৮)। অসুস্থরা হলেন, তাপস মণ্ডল ও সুভাষ মল্লিক। সকলেরই বাড়ি গাইঘাটা থানা এলাকায়। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাসের জেরে দম বন্ধ হয়ে ওই বিপত্তি ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা পরিতোষ সর্দার নতুন বাড়ি তৈরি করছেন। একই সঙ্গে শৌচাগারের জন্য সেপটিক ট্যাঙ্কও তৈরির কাজ চলছিল। ট্যাঙ্কটি তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। ট্যাঙ্কটির গভীরতা প্রায় ৬-৭ ফুট। ট্যাঙ্কের ভিতরে নামবার মুখটা ছিল সরু।

পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ট্যাঙ্কের ভিতরে বৃষ্টির জল জমে গিয়েছিল তিন চার ইঞ্চি। এ দিন দুপুরে চার রাজমিস্ত্রি এসেছিলেন পরিতোষের বাড়িতে। সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে জমা জল বের করে, ট্যাঙ্কের বাকি থাকা কাজ শেষ করতে রাজমিস্ত্রিরা আসেন। প্রথমে প্রধান রাজমিস্ত্রি সুভাষ ট্যাঙ্কের মধ্যে নামেন। তিনি ভিতরে নামতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। বাড়ির মালিকও তিন শ্রমিক মিলে সুভাষকে ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সুভাষকে বাঁচাতে বাকি তিন সহকর্মী একে একে সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে নামেন। তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়ির মালিকের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তাঁরা ট্যাঙ্কের মুখটা ভেঙে তিনজনকে উদ্ধার করেন। চারজনকেই চাঁদপাড়া ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তরুণ ও বিকাশকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। অসুস্থ তাপস এবং সুভাষকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

অভিযোগ, কোনও রকম নিরাপত্তা ছাড়াই তাঁরা সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে নেমেছিলেন। মিস্ত্রিরা জানিয়েছেন, তাঁরা বহুদিন এ ভাবে কাজ করে আসছেন। এখনও কোনও বিপদ হয়নি।

Death Septic Tank
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy