মোবাইলের লোভে ভাইপোকে খুন করলেন কাকা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার দাঁড়িয়া এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস দুয়েক আগে ১৪ বছরের আনারুল ঢালি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে একটি জলাশয় থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পরিবার। অন্য দিকে, ভাইপোর মৃত্যুর আগে থেকেই কাকা আলমগীর ঢালির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশের সন্দেহ নাবালকের মৃত্যুতে তিনি কোনও ভাবে জড়িত। অবশেষে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন মাছ ধরার নাম করে আনারুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান কাকা। তার পর থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোর। ছেলেটির আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ ছিল হামিদা নামে এক প্রতিবেশীর উপর। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ করেও তাঁর কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনও তথ্য মেলেনি।
নাবালকের হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করতে পরিবারের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার পর তারা নিশ্চিত হয়, খুনের নেপথ্যে রয়েছে নাবালকের কাকা। তদন্তে উঠে আসে, আনারুলকে একটি মোবাইল কিনে দিয়েছিলেন তার বাবা। ওই মোবাইলটি পছন্দ ছিল আলমগীরের। ভাইপোর কাছ থেকে মোবাইলটি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য নানা ফন্দি করেছিলেন তিনি। খাটেনি। তাই শেষমেশ ভাইপোকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন যুবক।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর মঙ্গলবার রাতে ক্যানিংয়ের দাঁড়িয়া এলাকা থেকে তাঁকে পাকড়াও করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে খুন হওয়া কিশোরের মোবাইলটিও। জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন আলমগীর। বুধবার তাঁকে তোলা হয় আলিপুর আদালতে। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নাবালককে খুনের নেপথ্যে আরও কোনও তথ্য পাওয়া যায় কি না, দেখা হচ্ছে।