Advertisement
E-Paper

বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরেই মৃত্যু তরুণীর

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তদন্তকারীরা অফিসারেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন তরুণী। বিয়ের এক বছর ঘুরতে না ঘুরতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল তাঁর। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে স্বরূপনগর থানার কাঁচদহ গ্রামের মাঝের পাড়ায়। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মিতা মণ্ডল (১৯)। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে চলে গিয়ে একই পাড়ার বাসিন্দা, পেশায় গৃহশিক্ষক উজ্জ্বল মণ্ডলকে বিয়ে করেছিলেন মিতা। সম্প্রতি তাঁর বাপের লোকজন ফোনে জানতে পারেন, বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হওয়ায় মিতাকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় হাসপাতাল থেকে মিতাকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শনিবার দুপুরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তরুণী। হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মিতার বাবা দীপঙ্কর মণ্ডল বলেন, ‘‘মেয়ে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছিল। আমরা গরিব মানুষ বলে যৌতুক বাবদ তেমন কিছু দিতে পারিনি। সে জন্য ওরা মেয়েকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দিত না।’’ দীপঙ্করের কথায়, ‘‘মেয়ে বিষ খেয়েছে বলে জানতে পারায় আমরা খোঁজখবর নিই। জানা যায়, যৌতুকের দাবিতে ওরা মেয়ের উপরে অকথ্য অত্যাচার করত। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মেয়েটা কীটনাশক খেল, নাকি মারধর করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মুখে বিষ ঢেলে দিল, বুঝতে পারছি না।’’

স্বরূপনগর থানায় উজ্জ্বল, তার বাবা দুর্গাপদ, মা শান্তি, দেওর ভাস্করের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবারটি। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তদন্তকারীরা অফিসারেরা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অন্য একটি ঘটনায়, বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে শ্বশুরবাড়ি থেকে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মাটিয়া থানার জয়পুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম কাজল মান্না অধিকারী (১৯)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটিয়া থানার পূর্ব সাংবেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাজল বসিরহাট কলেজে পড়তেন। সহপাঠী তুষার অধিকারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়েও হয়। কথা ছিল, যৌতুকের জিনিসপত্র জামাইকে পরে দেওয়া হবে জামাইকে।

কিন্তু বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই টাকা, গয়নার দাবিতে কাজলের উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। কাজলের বাবা দেবেন্দ্র মান্না বলেন, ‘‘প্রথম দিকে মেয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। কিন্তু পরে সব জানায়। সব জিনিস দেব, সে কথা জামাইকে বলেছিলাম। কিন্তু শুনল না। মেয়েটাকে মেরে ফেলল।’’ পুলিশ জানায়, কাজল অসুস্থ বলে শনিবার বিকেলে তাঁর বাপের বাড়িতে খবর দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দেবেন্দ্র জানান, তাঁরা গিয়ে দেখেন, মেঝেয় পড়ে কাজল। বাড়িতে কেউ নেই। কাজলকে স্থানীয় ধান্যকুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই দেবেন্দ্র মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন।

Crime Swarupnagar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy