ভাঙচুর: মগরাহাটে নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে শিশুমৃত্যুর অভিযোগে শুক্রবার দুপুরে উত্তাল হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট গ্রামীণ হাসপাতাল। হাসপাতাল চত্বরে থাকা কয়েকটি গাড়ি, ওষুধের স্টোর রুম, পুরুষ বিভাগের একাংশে ভাঙচুর চালানো হয়। চিকিৎসকদের হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। মৃত শিশুটির পরিবার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ— দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছেন।
ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিশুমৃত্যু হলেই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। ওই শিশুটি রাস্তাতেই মারা গিয়েছিল। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বেলালিয়া গ্রামের নয় মাসের শিশু কন্যা লাভলি হালদার সর্দি-কাশিতে ভুগছিল। তার মা রুমাদেবী এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ তার শিশুকন্যাকে মগরাহাট গ্রামীণ হাসপাতালের বহির্বিভাগের দেখান। চিকিৎসক ওই শিশুটিকে দেখে সিরাপ দেন। তার পর মা-মেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।
অভিযোগ, দুপুর ১টা নাগাদ ওই শিশুকন্যা বাড়িতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন পেশায় দিনমজুর মুকুল হালদার তাঁর শিশুকে ফের হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, শিশুকন্যাটির মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। আশপাশের এলাকা থেকে কয়েকশো বাসিন্দা ইট, লাঠি নিয়ে হাসপাতালে চলে আসে। শুরু হয় ভাঙচুর। বাধা দিতে গেলে চিকিৎসকদের হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতাল চত্বরে থাকা গাড়িগুলিতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। হাসপাতালের সামনের উস্তি-মগরাহাট রোডে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা।
মৃতার বাবা মুকুল হালদারের অভিযোগ, ‘‘আমার মেয়ের সর্দি-কাশি হয়েছিল। ভুল চিকিৎসার জন্যই মেয়ে মারা গিয়েছে। এর জন্য যে চিকিৎসক দায়ী তার উপযুক্ত শাস্তি চাই।’’
মগরাহাটের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এম জি আলম বলেন, ‘‘এ দিন প্রচুর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকেরা আতঙ্কে রয়েছেন।’’
মগরাহাট পূর্বের বিধায়ক তথা মগরাহাট গ্রামীণ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নমিতা সাহা বলেন, ‘‘গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy