Advertisement
E-Paper

বাঁধ মেরামতে দেরি, ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা

স্থানীয় সূত্রের খবর, আমপানের রাতে খুবই খারাপ অবস্থা হয়েছিল বাঁধের। স্থানীয়রা কোনওমতে মাটি দিয়ে বাঁধ রক্ষা করেন।

নবেন্দু ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৫২
গড়িমসি: এই বাঁধই দ্রুত মেরামত হোক চান মানুষ। —নিজস্ব চিত্র

গড়িমসি: এই বাঁধই দ্রুত মেরামত হোক চান মানুষ। —নিজস্ব চিত্র

আমপানে বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকেছিল গ্রামে। ঝড়ের দাপটে কয়েকশো মিটার বাঁধের ক্ষতিও হয়। কিন্তু আমপানের পর দীর্ঘদিন বাঁধ মেরামতে কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। মাস দু’য়েক আগে বাঁধে মাটি দেওয়ার জন্য বাঁশের খাঁচা তৈরি করা হয়। তবে তারপরেও প্রশাসনের গড়িমসিতে কাজ এগোচ্ছিল না। হাসনাবাদ থানার বিশপুর পঞ্চায়েতের কাকারিয়ার ডাঁসা নদীর এই বাঁধ মেরামতে প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষ পর্যন্ত শনিবার বাঁধে মাটি ফেলার কাজ শুরু করল পঞ্চায়েত।

স্থানীয় সূত্রের খবর, আমপানের রাতে খুবই খারাপ অবস্থা হয়েছিল বাঁধের। স্থানীয়রা কোনওমতে মাটি দিয়ে বাঁধ রক্ষা করেন। তবে তারপর থেকে আর সেভাবে বাঁধ মেরামত হয়নি। কাকারিয়া খেয়াঘাটের কাছে বাঁধের অবস্থা সব থেকে খারাপ। বাঁধে মাটি কমে গিয়েছে। জোয়ারের সময় জলস্তর বাঁধের কাছাকাছি চলে আসে। কয়েকশো মিটার জুড়ে বাঁধের এই অবস্থা। স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস বর বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বাঁধের কাজ ভাল ভাবে হচ্ছে না। আমপানের আগে একবার ফলক পোঁতা হয়েছিল কাজ হবে বলে। কিন্তু কাজ হয়নি। আমপানের রাতে তাই বাঁধ ভেঙে জল ঢোকে গ্রামে। আমরাই দ্রুত মাটি ফেলে সামাল দিই। তারপর বাঁধে আর কাজ হয়নি।”

বাঁধের একদম পাশে বেশ কিছু পরিবারের বাস। বাঁধের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁরা আতঙ্কিত। বাঁধের পাশে একটি বাচ্চাদের স্কুলও রয়েছে। সম্প্রতি এলাকায় গিয়ে দেখা গেল স্কুলের একটা ঘরের দেওয়ালের কিছুটা অংশ ঢাকা পড়ে গিয়েছে বাঁধের মাটিতে। যা দেখিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, মেরামত না হওয়ায় বাঁধ ক্ষয়ে ক্ষয়ে ক্রমশ এগিয়ে আসছে নদী।

এ দিন মাটি ফেলা শুরু হওয়ার পর স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রবিশঙ্কর বর বলেন, “দ্রুত সংস্কারের কাজ শেষ করা হবে। আশা করি, স্থানীয় মানুষের সমস্যা মিটবে।” হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা মৃধা বলেন, “একশো দিনের কাজ প্রকল্পে মাটি ফেলার কাজ হচ্ছে। শ্রমিক পেতে একটা সমস্যা হচ্ছিল। তাই দেরি হল।”

Dam Renovation Villagers angry Hasnabad
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy