E-Paper

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জোর বাসন্তীতে, গড়া হচ্ছে প্রকল্প

ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, পুর এলাকার মতো প্রতি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করার জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ই-কার্ট টোটো। এ জন্য প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকা মিলেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:০৩
পঞ্চায়েতগুলির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে এই ধরনের টোটো।

পঞ্চায়েতগুলির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে এই ধরনের টোটো। —নিজস্ব চিত্র।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জোর দেওয়া হয়েছে বাসন্তী ব্লক জুড়ে। ইতিমধ্যে দু’টি পঞ্চায়েতে গড়ে তোলা হয়েছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট। বাকি ১১টিতেও কাজ চলছে। প্রতিটি বাড়ি থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে জানিয়ে ব্লক প্রশাসনের দাবি, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ শহুরে পরিষেবা পাবেন এই ব্যবস্থাপনার জন্য।

ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, পুর এলাকার মতো প্রতি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করার জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ই-কার্ট টোটো। এ জন্য প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকা মিলেছে। গত বুধবার বাসন্তী ব্লক অফিস থেকে প্রাথমিক ভাবে ১০টি টোটো ১০টি পঞ্চায়েতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিডিও সঞ্জীব সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল ও সহকারী সভাপতি আতিয়ার রহমান মোল্লা এই ই-কার্টগুলি তুলে দেন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির হাতে।

আগেই ঝড়খালি, নফরগঞ্জ ও মসজিদবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে ই-কার্ট টোটো দেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আরও দু’টি করে বর্জ্য সংগ্রহের জন্য পঞ্চায়েতগুলিতে ওই টোটো দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই দু’টি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই ভরতগড় ও জ্যোতিষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ওই দুই ইউনিট চালু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডিও। তিনি বলেন, “ বাসন্তী ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েতেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা আলাদা করা হবে। পচনশীল বর্জ্য দিয়ে জৈব সার তৈরি করা হবে। অপচনশীল সামগ্রী, যেমন প্লাস্টিকের জন্য একটি প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটও গড়ে তোলা হচ্ছে ব্লকে।”

ব্লক প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ ও পঞ্চায়েতগুলি। উত্তর মোকামবেরিয়ার পঞ্চায়েত প্রধান তানিয়া মণ্ডল এবং আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অলোক সর্দার বলেন, “ এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষকে পুরসভার মতো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিষেবা দিতে পারব। এর ফলে এলাকায় আবর্জনা কম জমবে এবং পরিবেশ দূষণের মাত্রাও অনেক কমবে।” বাসন্তীর বাসিন্দা সুপ্রিয়া সর্দার, রতন জানারা বলেন, “পঞ্চায়েতের তরফ থেকে প্রতিদিন আবর্জনা সংগ্রহ করা হলে সত্যিই ভাল হয়।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Waste Management Solid Waste Management basanti

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy