Advertisement
০৮ মে ২০২৪
গোবরডাঙায় তৃণমূলে সঙ্কট

দল কেন বিরোধিতায় নেই, প্রশ্ন

বন্‌ধ সফল হওয়ার পর পুরপ্রধানের পদ থেকে সুভাষবাবুকে সরাতে দলের শীর্ষ নেতারা প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।ওই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতারা আগেই পদত্যাগের কথা ভাবতে শুরু করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোবরডাঙা  শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৭ ০২:১০
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রী বন্‌ধের বিরুদ্ধে। তা সত্ত্বেও ‘গোবরডাঙা পুর উন্নয়ন পরিষদ’ এবং ‘হাসপাতাল বাঁচাও কমিটি’-র ডাকা বন্‌ধ সফল হল। কেন রাস্তায় নেমে এর বিরোধিতা করল না এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। আসলে এই বন্‌ধ সফল হওয়ার পিছনে তৃণমূল নেতাদেরই মদত রয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

তাঁদের মতে, স্থানীয় নেতৃত্বের সমর্থন না থাকলে বন্‌ধ এতটা সফল হওয়ার কথা নয়। তবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের ধারণা যে একেবারেই ভুল তা নয়। কারণ গোবরডাঙার এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, মানুষকে সঙ্গে নিয়েই তাঁদের রাজনীতি করতে হয়। এলাকার সমস্ত মানুষ হাসপাতালের দাবিতে সর্বাত্মক বন্‌ধ পালন করেছেন। সেখানে রাস্তায় নেমে বন্‌ধের প্রতিবাদ করা মানে এলাকার মানুষের বিরুদ্ধে যাওয়া। যা এলাকাবাসী ভাল চোখে দেখবেন না। তাঁর কথায়, ‘‘এ ভাবে বিরোধিতা করলে, আমরা মানুষের সমর্থন হারাতাম। যাকে বলে আত্মহত্যা। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এলাকার মানুষের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করছেন না।’’

বন্‌ধ সফল হওয়ার পর পুরপ্রধানের পদ থেকে সুভাষবাবুকে সরাতে দলের শীর্ষ নেতারা প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। ওই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতারা আগেই পদত্যাগের কথা ভাবতে শুরু করেছেন। স্থানীয় নেতা বলেন, ‘‘খোঁজ নিচ্ছি। তেমনটা হলে আগে পদত্যাগ করব।’’

দল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে দলের পক্ষ থেকে সুভাষ দত্তকে পুরপ্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলার দুই যুব নেতাকে তাঁর কাছ থেকে পদত্যাগ পত্র আনার জন্যও বলা হয়েছে। সুভাষবাবু দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, তিনি রবিবার দলীয় কাউন্সিলর ও স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সোমবারের মধ্যে তাঁর পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেবেন। যদিও ওই বিষয়ে সুভাষবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘দলের পক্ষ থেকে আমাকে পদত্যাগ করতে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ন্যায্য দাবির সঙ্গে জীবনে কখনও আপোষ করিনি। তাতে পদ থাকুক বা না থাকুক।’’ বৃহস্পতিবারও তিনি পুরসভায় এসে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

তবে বৃহস্পতিবার সুভাষবাবুকে জরুরি ভিত্তিতে মধ্যমগ্রামে দলের জেলা কার্যালয়ে জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছিল। তিনি সেখানে যেতে পারেননি। তাঁর ভাই রাজীব দত্ত গিয়েছিলেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Gobardanga Bandh TMC গোবরডাঙা
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE