ধৃত: শিখা দাম। নিজস্ব চিত্র
কিশোরীকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত যুবকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ও সাক্ষীকে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে প্রভাবিত করার অভিযোগে এক মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত আদালতে। ধৃতের নাম শিখা দাম। বাড়ি বারাসতের বিধানপার্ক এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে অশোকনগর এলাকায় এগারো বছরের এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ওই এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ পকসো আইনে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। গ্রেফতার হলেও পরে অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। মামলাটি এখন বারাসত আদালতে চলছে। বুধবার ওই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ছিল। ওই কিশোরীকে নিয়ে আদালতে যান শিখা দাম। সরকারি কৌঁসুলি শান্তময় বসু জানান, পুলিশ আদালতে রিপোর্ট দিয়েছে, ওই কিশোরী এখন এলাকায় থাকে না। কিন্তু ওই কিশোরীকে নিয়ে ওই মহিলা ওই দিন আদালতে আসেন। তাঁর কাছে জানতে যাওয়া তিনি কিশোরীর কে? মহিলা জবাব দেন, তিনি কিশোরীর নিজের মামি। পরে কিশোরীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছিল, তা মনে আছে কি না? ঘটনার কথা তার এখন কিছু মনে নেই কিশোরীটি জানায়। জানতে চাওয়া হয়, তার মা কোথায়? জবাব, মা অসুস্থ। এর পরেই শান্তময়বাবু মেয়েটিকে বলেন, মা সুস্থ হলে তাঁকে আদালতে নিয়ে আসতে।
কিশোরী এবং ওই মহিলার কথা শুনে শান্তময়বাবুর সন্দেহ হয়েছিল। পরে আদালত চত্বরে অন্য আইনজীবীরা দেখেন, ওই মহিলা অভিযুক্ত যুবকের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। খবর পেয়ে শান্তময়বাবু তাঁকে ডেকে পাঠান। কারণ, জানতে চাইলে মহিলা প্রথমে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। পরে বলেন, রেশনকার্ড তৈরি করে দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন। এরপরেই সাক্ষীকে প্রভাবিত করা ও অভিযুক্তের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য শান্তময়বাবু ওই মহিলাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ওই মহিলা মেয়েটির মামি নয়। টাকা নিয়ে মামলাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে অনুমান। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy