দিন কয়েক আগে জমিজমা নিয়ে বিবাদের জেরে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। ওই বিজেপি কর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে ‘আক্রান্ত’ হন তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। শনিবার জীবনতলার মঠেরদিঘি এলাকায় ওই কর্মীর বাড়িতে আসেন কেন্দ্রীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সহ-সভাপতি অলিউল পিয়াদা ও জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বাপন মণ্ডলের সঙ্গে জমি নিয়ে কিছু দিন ধরে বিবাদ চলছিল স্থানীয় কিছু মানুষের। বাপন এলাকায় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। গত সোমবার ‘বিতর্কিত’ জমিতে বেড়া দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বাপন ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যেরা প্রতিবাদ জানান। ক্লাব সদস্যদের দাবি, বাপন ও তাঁর পরিবার জোর করে ক্লাবের জায়গা দখল করছিলেন।
উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। অভিযোগ, ক্লাবের কিছু লোকজন বাপনকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাপন ও তাঁর স্ত্রী-সহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েক জন জখম হন। উভয়পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করে। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ওই ঘটনার পরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সমাজ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান। এ দিন বাপনের বাড়িতে গিয়ে অর্চনা পরিবারটিকে আশ্বাস দিয়ে জানান, পুরো বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানানো হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে এখানে প্রতিনিধিত্ব করতে আসেনি। একটি সাংগঠনিক পদের দায়িত্ব থেকে এখানে এসেছি। চার দিকে ভয়াবহ অবস্থা। এই পরিবারের উপরে বার বার আক্রমণ করার চেষ্টা চলছে। ওঁরা যথেষ্ট আতঙ্কে আছেন। পুরো বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় থানাকে জানিয়েছি। কাজ হয়নি। আমি চাই, প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক এবং আক্রান্ত পরিবারকে নিরাপত্তা দিক।’’
এ দিন প্রতিনিধি দলকে লক্ষ্য় করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কিছু মহিলা কর্মী। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লার প্রতিক্রিয়া, ‘‘নাটক করতে ওঁরা এখানে এসেছিলে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। একটি ক্লাবের জায়গা দখল করাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হলে সেখানে যায় না মহিলা কমিশন। ওরা বিজেপির হয়ে দালালি করছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)