Advertisement
E-Paper

মদ রুখতে পথে মহিলা

বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুরনো দু’টি মদের দোকান সরাতে হবে। প্রস্তাবিত মদের দোকানটির অনুমোদনও বাতিল করতে হবে। কারণ, সেগুলি রাজ্য সড়ক টাকি রোডের ৫০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, ঘুরপথে টাকার বিনিময়ে তথ্য লুকিয়ে মদের দোকানটি খোলার চেষ্টা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৭ ০৩:১৯

এলাকায় দু’টি মদের দোকান রয়েছে। একটি দেশি মদের। অন্যটি বিদেশি মদের। তার পরেও ফের একটি মদের দোকান খোলার চেষ্টা হচ্ছে, এই অভিযোগে কিছু দিন আগে পথ অবরোধ করেছিলেন তাঁরা। রবিবার সকালে হাতা-খুন্তি সরিয়ে রেখে ফের পথে নামলেন বসিরহাটের মাটিয়া এলাকার বহু মহিলা। মদের দোকান বন্ধের দাবিতে এ বার বিভিন্ন দেওয়ালে পোস্টার মারেন তাঁরা।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জাতীয় সড়ক এবং রাজ্য সড়কের ধারে ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও মদের দোকান রাখা যাবে না বলে নির্দেশ দেয়। তার পরেও মাটিয়া এলাকায় রাজ্য সড়ক টাকি রোডের পাশে কী ভাবে মদের দোকান চলছে এবং নতুন করে তৈরি হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। আবগারি দফতরের জেলা আধিকারিক ষষ্ঠী ঘোষ অবশ্য দাবি করেছেন, ওই এলাকায় দু’টি দোকানের মধ্যে একটি ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নতুন আর কোনও দোকান হচ্ছে না। এ কথা বিক্ষোভকারীদের জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। বসিরহাটের মহকুমাশাসক নীতেশ ঢালি বলেন, ‘‘মদের দোকান খুলতে গেলে সরকারি নিয়ম মানতে হবে। কারও কোনও আপত্তি থাকলে জানান। আবগারি দফতরের সঙ্গে কথা বলব।’’

এ দিন পোস্টার সাঁটাতে মাটিয়ার মহিলাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন সংলগ্ন ধান্যকুড়িয়া এবং শ্রীনগর এলাকার মহিলারাও। কিন্তু কেন আপত্তি? বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, একেই বিকেলের পর রাস্তায় নেশাগ্রস্ত লোকজনের আনাগোনা বাড়ে। সেই দলে দুষ্কৃতীরাও থাকে। ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় বেরোতে হয়। কটূক্তিও শুনতে হয়। তার উপরে এ ভাবে মদের দোকানের সংখ্যা বাড়লে গোটা এলাকাই দুষ্কৃতীদের দখলে চলে যাবে বলে তাঁদের আশঙ্কা। তা ছাড়া, মাটিয়া এলাকায় যৌনপল্লি থাকায় সেখানকার একাধিক দোকানেও বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি হয়। নতুন দোকানটি যেখানে হওয়ার কথা তার কাছেই রয়েছে ধর্মস্থান, স্কুল এবং হাসপাতাল। দোকানটি হলে পরিবেশ নষ্ট হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুরনো দু’টি মদের দোকান সরাতে হবে। প্রস্তাবিত মদের দোকানটির অনুমোদনও বাতিল করতে হবে। কারণ, সেগুলি রাজ্য সড়ক টাকি রোডের ৫০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, ঘুরপথে টাকার বিনিময়ে তথ্য লুকিয়ে মদের দোকানটি খোলার চেষ্টা হচ্ছে।

বিক্ষোভকারীদের পক্ষে এক মহিলা বলেন, ‘‘এখানে এত মদের দোকানের প্রয়োজন হচ্ছে কেন, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মানছেন না ব্যবসায়ীরা।’’

Protest Women Alcohol
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy