এক মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তুলল পরিবার। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ওই মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির কাছেই একটি বাগান থেকে। তার পরেই স্থানীয় বাসিন্দা ও মৃতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ওই মহিলা দোকানে যাচ্ছিলেন। তখনই তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, মৃতদেহে কোনও পোশাক ছিল না এবং গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
বাসিন্দারা স্থানীয় থানায় খবর দিলে পুলিশ পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে এলাকার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, সুরতহালের পরে প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি। মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান। ময়না তদন্তের পরে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ওই বাগান সংলগ্ন একটি বাড়ি সিল করেছে পুলিশ।
খুন ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের মামলা রুজু করে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। তাদের মধ্যে এক জন নাবালক। অপর অভিযুক্তের নাম কল্যাণ কুলে। রবিবার ওই নাবালককে জুভেনাইল জাস্টিস আদালতে পেশ করা হলে হোমে পাঠানো হয়। কল্যাণকে পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে। তার ন’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। সূত্রের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই নাবালক মহিলাকে ডেকে আনে নিজের বাড়িতে। এর পরেই সেখানে কল্যাণ পৌঁছয়। এর পরে ঠিক কী ঘটেছিল, জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, কল্যাণ বিজেপি কর্মী। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন। এ দিকে, বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সোমা ঘোষের দাবি, অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী ছিল না, বরং ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছিল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)