বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, কাঁচাপাট এবং কিছু পাটজাত পণ্য দেশের স্থলবন্দরগুলি দিয়ে আমদানি অন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। এর ফলে, রোজগার কমেছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোলে ট্রাকে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজে যুক্ত প্রায় ১১০০ শ্রমিকের। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যেরা একত্রিত হয়ে প্রবিবার পেট্রাপোল বন্দরে প্রতিবাদ-লভা করলেন। সভা থেকে ওই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির কাজ স্বাভাবিক ছন্দে শুরু করানোর দাবি ওঠে।
বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের লম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্তই নিক, তা আঞ্চলিক অর্থনীতিতে কি প্রভাব ফেলবে, তা বিবেচনা করে নেওয়া উচিত।” বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শ্রমিকদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে।
বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ওই সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮, ৯, ১০ এবং ১২ জুলাই বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে যথাক্রমে ৫১, ২০, ৬৮ এবং ৫৩ ট্রাক। স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক গড়ে ১৫০-২০০ ট্রাক পণ্য শ্রমিকদের প্রতিবাদ সভা।
শ্রমিকের আগে প্রতি সপ্তাহে প্রায় তিন হাজার টাকা আয় হত। কেন্দ্র ওই সব আমদানি বন্ধ করায় এখন সপ্তাহে হচ্ছে ৫০০ টাকা। অথচ, সমুদ্রবন্দর বা জলবন্দর দিয়ে ওই বাংলাদেশি পণ্য আসছে। বনগাঁয় কোনও শিল্প না-থাকায় বন্দর-কেন্দ্রিক অর্থনীতির উপরে বহু মানুষ নির্ভরশীল। আমদানি কমায় ট্রাক মালিকেরাও সমস্যায় পড়েছেন। শ্রমিক নেতা রামপদ বিশ্বাস বলেন, “পেট্রাপোল বন্দরে পণ্য আমদানির কাজ স্বাভাবিক গতিতে ফিরিয়ে আনার দাবি তোলা হয়েছে। কেন্দ্রের নজর নেই।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)