তৃণমূল পরিচালিত অটো সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারির জেরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন অটো চালকেরা। রবিবার দুপুর থেকে প্রায় ২৪ ঘণ্টা দেগঙ্গা ব্লকের ঝাঁপা চৌমাথায় এই বিক্ষোভ চলে। এতে তেলিয়া-দেগঙ্গা বাজারের মধ্যে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে পুলিশ এসে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দেগঙ্গা ব্লকের তেলিয়া গ্রামের বিদ্যাধরী নদীর ধার থেকে দেগঙ্গা বাজারের মধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তায় বেশ কয়েকটি অটো চলাচল করে। রবিবার বেলা ১০টা নাগাদ বিদ্যাধরী নদীর ধারে এক অটো চালকের সঙ্গে আর একজনের বচসার জেরে হাতাহাতি হয়। একটি অটো সংগঠনের বক্তব্য, দুই চালককেই ওই রাস্তায় অটো চালাতে দিতে হবে। এই দাবিতে সংগঠনের এক সদস্যকে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে দলের আর এক গোষ্ঠীর লোকেরা মারধর করে আটকে রাখে বলে অভিযোগ। এ দিকে সঙ্গীকে মারধর করে আটকে রাখার খবর পেয়ে অন্যান্য অটোচালকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাস্তায় ইট, কাঠ রেখে শুরু হয় অবরোধ। সঙ্গে চলে দলীয় ঝান্ডা নিয়ে বিক্ষোভ।
পুলিশ প্রথমে এই ঘটনায় না গেলেও সোমবার সকালে কয়লার লরি এই অবরোধের জেরে আটকে পড়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেরিতে আসার জন্য পুলিশকেও অবরোধকারীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এঁদের মধ্যে তৃণমূলের মোস্তাকিন গাজি, মুজিবর রহমান ও মোতালেব মণ্ডলরা বলেন, “ওই রাস্তায় দলীয় ইউনিয়নের ৩০টি গাড়ি চলছে। ১২টি গাড়ির চালক এই রুটে গাড়ি চালানোর জন্য আবেদন করেছেন। এই অবস্থার মধ্যে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর পক্ষে দু’জনকে গাড়ি চালাতে দিলে বাকিদেরও দিতে হবে।” তাঁদের কথায়, “এমন ঘটনার প্রতিবাদে বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমে দলের কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই।” এই অভিযোগ অবশ্য ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন দেগঙ্গার তৃণমূল নেতা আবদুল অদুত। তিনি বলেন, “তৃণমূলের ঝান্ডা বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। যারা তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে অবরোধ করছে তারা আসলে সিপিএমের লোক। তাদের সঙ্গে আমাদের দলের সম্পর্ক নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy