Advertisement
১৮ মে ২০২৪

গরু চুরির অভিযোগে গণপিটুনি বসিরহাটে

গরু চুরির অভিযোগে এক দুষ্কৃতীকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল গ্রামবাসীরা। ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা ছোট নম্বরহীন একটি ম্যাটাডোরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার মোমিনপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সঞ্জয় সরকার। বাড়ি সীমান্তের সায়েস্থানগরে।

পুড়িয়ে দেওয়া গাড়ি।

পুড়িয়ে দেওয়া গাড়ি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:১৩
Share: Save:

গরু চুরির অভিযোগে এক দুষ্কৃতীকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল গ্রামবাসীরা। ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা ছোট নম্বরহীন একটি ম্যাটাডোরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার মোমিনপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সঞ্জয় সরকার। বাড়ি সীমান্তের সায়েস্থানগরে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মোমিনপুর পঞ্চায়েতের দেবীপুর, মোমিনপুর, শ্বেতপুর, ঝিনকা-সহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি হচ্ছিল। শ্যালো মেশিন, পানীয় জলের কল, সাইকেল, মোটরবাইক, রান্নার গ্যাস-সহ অনেক কিছুই নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাই এ দিন এই গ্রামের কয়েক জন রাত জেগে এলাকায় পাহারা দিচ্ছিলেন। ইতিমধ্যে ৫-৬ জন দুষ্কৃতী একটা ছোট গাড়ি নিয়ে ঢোকে। সেটি স্থানীয় হাজরাতলা মোড়ে রেখে গ্রামের মধ্যে ঢুকে তারা গরু চুরির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।


ধৃত সঞ্জয়

এলাকাবাসীদের দাবি, রাত ১টা নাগাদ দুষ্কৃতীরা যখন কয়েকটি গরু চুরি করে হাজরাতলা মোড়ে এনে গাড়িতে তুলছিল, সে সময়ে গ্রামের মানুষ তাদের ঘিরে ফেলে। অন্ধকারে বাকিরা পালাতে পারলেও গাড়ির চালক তথা এই দলের পাণ্ডা সঞ্জয়কে ধরে ফেলেন বাসিন্দারা। শুরু হয় গণধোলাই। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে।

এ বিষয়ে শ্বেতপুরের বাসিন্দা সাহিদা বিবি বলেন, “স্বামীর মৃত্যুর পর পাঁচ জনের সংসারে গরুর দুধ বিক্রি করেই সংসার চলত। কিন্তু গরু চুরির পরে আমাকে এই বয়সে মজুরি খেটে সংসার চালাতে হচ্ছে।” মোমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা করিম সর্দার, রেজাউল গাজিরা বলেন, “একটা গরু সীমান্তের ও পারে পাঠাতে পারলেই ১৫-২০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। সেই লোভেই দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে গরু চুরি করে। পুলিশ বাকিদের ধরতে না পারলে আমরা বড় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” এ দিকে, ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সঞ্জয়ের বাকি সঙ্গীদের বাড়ি হাসনাবাদের তালপুকুর গ্রামে। তাদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।

—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

cow theft lynch basirhat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE