Advertisement
E-Paper

জেলা পরিষদের কাজকর্ম নিয়ে অভিযোগ

চৌত্রিশ বছর কাজের পরে এ বার আপনাদের বিশ্রামের পালা, এই বলে তাঁদের সমস্ত কাজ থেকে দূরে রেখেছে শাসকদলের জেলা পরিষদের সদস্যেরা এমনই অভিযোগ তুললেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদেরই বিরোধী দলনেতা সিপিআইএমের রমণীরঞ্জন দাস। শুক্রবার জেলাপরিষদ ভবনে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি নানা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৫ ০০:২০

চৌত্রিশ বছর কাজের পরে এ বার আপনাদের বিশ্রামের পালা, এই বলে তাঁদের সমস্ত কাজ থেকে দূরে রেখেছে শাসকদলের জেলা পরিষদের সদস্যেরা এমনই অভিযোগ তুললেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদেরই বিরোধী দলনেতা সিপিআইএমের রমণীরঞ্জন দাস। শুক্রবার জেলাপরিষদ ভবনে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি নানা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

দেড় বছর ধরে জেলা কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। এই জেলা কাউন্সিলে একাধিকবার বৈঠক করা হয়েছে। কিন্তু একবারও ডাক পাননি বলে রমণীবাবুর অভিযোগ। জেলা পরিষদের ৯ জন কর্মাধ্যক্ষ আছেন। প্রত্যেকটি কর্মাধ্যক্ষের অধীনে ১টি করে স্থায়ী সমিতি আছে। তাতে সিপিএমের ২২ জন, আরএসপি ২ এবং সিপিআইয়ের ১ জন সদস্য রয়েছেন। কিন্তু কোনও উন্নয়নমূলক কাজে এবং জেলা পরিষদের কোনও বৈঠকে বিরোধী সদস্যদের ডাকা হয় না বলে তাঁর অভিযোগ। এ রকম নানা ভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে রমণীরঞ্জনবাবু বলেন, “আমি এক জন অধ্যক্ষ হওয়া সত্ত্বেও আমার চেম্বারটি ছোট। অথচ উপ অধ্যক্ষের চেম্বারটি বড়। আমার ঘরের দীর্ঘদিন ধরে ফোনের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়া হয়নি।” শুধু তাই নয়, সপ্তাহে মাত্র দু’দিন তাঁকে অফিসে আসতে বলা হয়েছে। এই দু’দিন তাঁর বাড়ির থেকে অফিসে আসার জন্য গাড়ি ভাড়া করে নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভাড়া গাড়ির বিল তাঁকে দেওয়া হয়নি বলে তাঁর দাবি। প্রসঙ্গত, রমণীরঞ্জনবাবুর বাড়ি কুলতলির সাঙ্কিজাহান এলাকায়। সেখান থেকে আলিপুর যথেষ্ট দূরে।

গীতাঞ্জলি প্রকল্পে এ বছর ৩০০৭টি ঘর জেলা পরিষদের সদস্যদের অধীনে রয়েছে। প্রত্যেকটি জেলা পরিষদের সদস্যদের ৪৩টি করে গরিবদের ঘর দেওয়ার অনুমতি আছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শুধু শাসকদলের লোকেরাই এই সুবিধা পেয়েছে বলে অভিযোগ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমাদের সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যেরা।” তিনি আরও বলেন, “সুন্দরবন এলাকার নদীবাঁধগুলির অবস্থা শোচনীয়। যেখানে মাটি ফেলা হচ্ছে না বা সংস্কার করাও হচ্ছে না। প্রতিটি কোটালে ৬ ইঞ্চি ১ ফুট করে নদীর জল বাড়ছে। ফলে যে কোনও মুহূর্তে নদীবাঁধ ভাঙতে পারে। এতে প্লাবিত হবে এলাকা।” এই এলাকার রাস্তাও খারাপ বলে তাঁর অভিযোগ। এ রকম ২৩টি রাস্তার উল্লেখ করে জেলাশাসক ও জেলা সভাধিপতিকে একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি সামিমা শেখকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছে। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএসেরও কোনও রকম উত্তর দেননি।

canning zila parishad cpim ramani ranjan das southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy