বিষয়ের টান বড় টান। কি গৃহী বা সন্ন্যাসী। কেউ-ই বিষয়ের এই টান থেকে সহজে মুক্তি পান না। তবুও গৃহীর সংসার আছে। সাধুর তো আর সে সব ঝুট-ঝামেলা নেই। তবু সাগরের নাগা বাবারা চটেছেন। কারণ, সাগর মেলায় এ বার নাকি তাঁদের প্রণামীতে টান পড়তে পারে। সে কারণে জেলাশাসকের মুণ্ডপাত করতেও পিছপা হচ্ছেন না নাগা সাধুরা। হুঙ্কার ছেড়ে মুড়ি-মুড়কির মতো চলছে শাপশাপান্ত। কিন্তু কী এমন হল যে জেলাশাসকের উপরে এমন চটলেন নাগা সাধুরা?
অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও সাগর মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। এত দিন কপিলমুনি মন্দিরের ডান দিকে নাগা সাধুদের সামনে কোনও ব্যারিকেড করা হত না। ফলে মানুষ মন্দির দর্শন করে সরাসরি নাগা সন্ন্যাসীদের প্রণাম করতে আসতেন। কিন্তু এ বার ব্যারিকেড হওয়ায় আসতে হবে ঘুরপথে।
নাগা সাধুদের দাবি পুণ্যার্থীরা চাল, ডাল, টাকা দিতেন নাগা সাধুদের। সাধুদের হাতে দু’টো কাঁচা টাকা আসত। কিন্তু এ বছর সাধুদের ডেরার সামনে পিছনে ৭ ফুট জায়গা রেখে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রণামী এ বার কম পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন নাগা সাধুরা। সে কারণেই বেজায় চটেছেন। ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ করে একেক জন আস্তানা বানিয়েছেন। প্রণামীতে টান পড়লে রীতিমতো লোকসান! এক নাগা সাধু বলেন, “অনেক টাকা খরচা করে আমরা পাকা কুঠুরি বানিয়েছি। জেলা প্রশাসনের এই ব্যারিকেডের জন্য আমাদের ক্ষতি হয়ে যাবে।” ওই সাধুর দাবি তিনি মঙ্গলবার এ বিষয়ে ডিএমকে বলেছিলেন। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। এ দিন অবশ্য জেলাশাসক শান্তনু বসুর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy