Advertisement
E-Paper

শান্তিপুরের মদে ৪০% ‘বিষাক্ত’ রাসায়নিক 

আবগারি দফতর ওই মদের নমুনা সংগ্রহ করে রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠিয়েছিল। তার রিপোর্ট এসেছে। তাতে ৪০% মিথাইল অ্যালকোহল বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্পিরিট পাওয়া গিয়েছে।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়  

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:১৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নদিয়ার শান্তিপুরের চোলাই মদের নমুনায় সাংঘাতিক বিষের সন্ধান মিলল। আবগারি দফতর ওই মদের নমুনা সংগ্রহ করে রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠিয়েছিল। তার রিপোর্ট এসেছে। তাতে ৪০% মিথাইল অ্যালকোহল বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্পিরিট পাওয়া গিয়েছে।

আবগারি দফতর মনে করছে, মদে ‘ঝাঁঝ’ আনতে মিথাইল অ্যালকোহল মেশানো হয়ে থাকতে পারে। তাই যাঁরা ওই চোলাই খেয়েছিলেন, তাঁরা মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে চোলাইয়ের ঠেক-মালিকও রয়েছেন।

এক আবগারি কর্তা জানান, অ্যালকোহল জাতীয় তরলের মধ্যে কেবলমাত্র ইথাইল অ্যালকোহলই পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চোলাই কারবারিরা হাতু়ড়ে পদ্ধতিতে গুড়, চাল ইত্যাদি থেকে তা বানায়। ইথাইল অ্যালকোহল তাপমাত্রার তারতম্য হলে মিথাইল অ্যালকোহলে পরিণত হয়। মদে ৫-৭% মিথাইল অ্যালকোহল থাকলেই বিষক্রিয়া হয়ে যায়। পান করলে চোখ, যকৃৎ নষ্ট হয়। পরিমাণ বাড়লে মৃত্যুও হতে পারে।

শান্তিপুরের মদে ৪০% মিথাইল অ্যালকোহল মিলেছে। আবগারি কর্তাদের একাংশের মতে, চোলাই বানানোর সময়ে শুধু নয়, পরে বাইরে থেকে বাজার চলতি স্পিরিট মিশিয়ে না দিলে এই পরিমাণ বিষ মেলার কথা নয়। রাসায়নিক বিশ্লেষণের রিপোর্ট আসার পর এখন আবগারি আইন ও সাধারণ আইনের কঠোরতম ধারা প্রয়োগ করে মামলা চালানো হবে।

কর্তাদের বক্তব্য, বেঙ্গল এক্সাইজ আইনের ৪৬এ ধারায় প্রাথমিক ভাবে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলার কথা বলা হয়েছে। সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডের পর সেই আইন সংশোধন করে ৪৬এএ ধারা যোগ করা হয়েছে। তাতে বিষমদে মৃত্যু হলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের কথা বলা হয়। এ বার সেই সঙ্গে খুনের অভিযোগও যোগ করতে পারে সিআইডি।

Adulterated Hooch Shantipur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy