পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ‘পকেটে ব্লেড’ ও ‘আঁচলে লঙ্কার গুঁড়ো’ রাখার ‘নিদান’ দিলেন মুর্শিদাবাদের এক বিজেপি নেতা। তাঁর সেই ‘নিদান’ ঘোষণার সময় মঞ্চে ছিলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা রাহুল সিংহ।
এই নিয়ে রাহুল অবশ্য বলেন, “আমি শুনিনি, উনি কী বলেছেন। উনি কেন কী বলেছেন, তা উনিই বলতে পারবেন।” তবে একই বিষয়ে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ‘তৃণমূলের সন্ত্রাস মোকাবিলায় আত্মরক্ষার কৌশল’ বলে মন্তব্য করেছেন। যদিও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বহরমপুর বিডিও অফিসের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সেখানে ছিলেন রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির অন্যতম সদস্য রাহুল সিংহ। তাঁর উপস্থিতিতেই দলের মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘চাকু পিস্তল না পেলে ছেলেরা অন্তত একটা ব্লেড রাখুন। অন্তত একটা শিরা কাটতে পারবেন। আপনারা বাড়িতে গিয়ে মোটা লাঠি কেটে সর্ষের তেল মাখিয়ে রাখুন। মেয়েদের বলব, শাড়ির আঁচলে লঙ্কার গুঁড়ো রাখবেন। পুলিশ সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে না পারলে আমরাই দায়িত্ব নিয়ে নেব।” তাঁর হুঙ্কার, “পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা করার সময় সামনে যে দাঁড়াবে, তাদের আমরা বুঝে নেব। পুলিশ, বিডিও, এসডিও, জেলাশাসক যেন প্রস্তুত থাকেন।’’ এ বিষয়ে কার্যত শাখারভের পাশে দাঁড়িয়েছেন দিলীপ। তিনি বলেন, “লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে হত্যা করা যায় না। আত্মরক্ষা করা যায়। তৃণমূল যদি আক্রমণ করে, আমাদেরও অধিকার আছে আত্মরক্ষার।”
তৃণমূলের কুণাল ঘোষ বলেন, “এটাই বিজেপির আসল চরিত্র। শান্ত পশ্চিমবঙ্গকে ওরা অশান্ত করার চেষ্টা করছে। ওরা এর আগে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অজুহাতে কখনও রাজভবনে গিয়ে, কখনও আদালতে গিয়ে নাটক করেছে। এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” পরে যদিও শাখারভের দাবি, ‘‘ব্লেড দিয়ে মানুষের শিরা কাটার কথা বলিনি। কুকুর, ইঁদুরের শিরাও হতে পারে। পারলে পুলিশ মামলা করুক। আদালতে উত্তর দেব।’’