ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল কোচবিহারে। মৃতের নাম কিসান কুমার (২৭)। বিহারের বাসিন্দা তিনি। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিলেন। বুধবার রাতে মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন হস্টেল থেকে কিসানের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণেই আত্মহত্যা করেছেন যুবক।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত ১২টার পরেও ঘরের দরজা না খোলায় সহপাঠীরা কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলকুমার মণ্ডলকে খবর দিয়েছিলেন। এর পর ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে কিসানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন সকলে। অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘রাত ১২টার পর হস্টেল থেকে আমার কাছে ফোন এসেছিল। পরে ঘর থেকে কিসানের দেহ উদ্ধার হয়। কিসান এক জন ইন্টার্ন। ওর সাড়ে চার বছরের কোর্স শেষ হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিন বাদেই সার্টিফিকেট পেত। দেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই আমি হাসপাতালের সুপার এবং পুলিশে খবর দিই।’’
হাসপাতালের তরফে যুবকের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশও দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি। যে ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই ঘরটিও সিল করে দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন যুবক।’’
পরিবারের অবশ্য দাবি, কিসান আত্মহত্যা করেননি। তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কারণ থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার ছেলের দেহ নিতে এসে বাবা বলেন, ‘‘আমাকে সব কিছু সঠিক ভাবে জানানো হয়নি। বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ আমাকে ফোন করে জানানো হয়, আমার ছেলের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। আমার ধারণা, ছেলের উপর মানসিক অত্যাচার চলেছে। কিসান আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নয়। ও ভীষণ পরিশ্রমী, সাহসী এবং মেধাবী ছাত্র ছিল। বুধবার রাতেও দু’-তিনবার আমাদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। কিসানের মা কুম্ভস্নানে যাবেন, সে বিষয়ে ছেলের সঙ্গে বার বার কথা হয়েছে। পুলিশ বলছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এলে সব কিছু বোঝা যাবে। তবে আমার ধারণা অবশ্যই ছেলের উপর মানসিক অত্যাচার হয়েছে।’’