‘পিঙ্ক করিডর’ তৈরি করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে স্তন পুনর্গঠন করা হল স্তনের ক্যানসারে আক্রান্ত এক রোগীর। চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক-দল আসানসোলে এসে গোটা বিষয়টির তদারক করেন। দীপ্তেন্দ্র জানান, কোনও জেলা হাসপাতালে ‘পিঙ্ক করিডর’ করে স্তন পুনর্গঠন এই প্রথম। এটা অন্য অনেক হাসপাতালকেও প্রেরণা জোগাবে।
চিকিৎসকেরা জানান, স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের চিকিৎসায় কোনও রকম দেরি এড়াতে সংশ্লিষ্ট সব হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় বন্দোবস্তকে ‘পিঙ্ক করিডর’ বলা হয়। আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানান, এই রোগিণীর ক্ষেত্রে দেরি এড়াতে এসএসকেএম থেকে চিকিৎসকদের আসানসোলে আনা হয়েছে। তাঁরা অস্ত্রোপচারের তত্ত্বাবধান করেছেন। সুপার বলেন, ‘‘এটা করতে পেরে আমরা গর্বিত।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সালানপুরের বছর চৌত্রিশের এক মহিলা বাঁ দিকের স্তনের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। আট বার তাঁর ‘কেমোথেরাপি’ হয়েছে। মহিলা স্তন পুরোপুরি বাদ দিতে রাজি ছিলেন না। আসানসোল হাসপাতালের টিউমার বোর্ডের আহ্বায়ক অমিতকুমার মুখোপাধ্যায় জানান, তখন স্তন পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে এ বিষয়ে এসএসকেএমের চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্রর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁর নেতৃত্বে মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালের প্রতিনিধিদল, এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক রণিত রায়, আসানসোল হাসপাতালের চিকিৎসক রহুল আমিন স্তন পুনর্গঠনের অস্ত্রোপচার করেন।
দীপ্তেন্দ্রর দাবি, এই ঘটনা ক্যানসার চিকিৎসার বিকেন্দ্রীকরণের উদাহরণ। আসানসোল জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ ‘দৃষ্টান্ত’ হয়ে থাকবে। হাসপাতালের উদ্যোগে তারা কৃতজ্ঞ, জানিয়েছে রোগিণীর পরিবার।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)