শোকস্তব্ধ: রবীন্দ্র সদনে শায়িত কালিকাপ্রসাদের দেহ। পাশে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ঋতচেতা ও পরিজনরা। মঙ্গলবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
একই দিনে স্কুল শুরু হয়েছিল আমাদের। আমাদের নিয়ে সে দিনই যাত্রা শুরু হয়েছিল শিশুতীর্থের। পারিবারিক উদ্যোগে স্কুলটি গড়ে ওঠে। উদ্বোধনী দিনে ছাত্র বলতে স্রেফ আমরা দু’জন।
কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য আমার বাবার মামাতো ভাই। সেই হিসেবে আমার কাকা। কিন্তু ‘বন্ধুকে’ ডাকতাম—প্রসাদ। ক্লাস ফাইভে আমরা নরসিং স্কুলে ভর্তি হই। মাধ্যমিকের পর প্রসাদ গুরুচরণ কলেজে। প্রসাদের এক কাকা মুকুন্দদাস ভট্টাচার্য ছিলেন নৃত্যগুরু। আর এক কাকা অনন্ত ভট্টাচার্য লোকগানের সংগ্রাহক। বাবা রামচন্দ্র ভট্টাচার্য ধ্রুপদী সঙ্গীতের শিল্পী ও পৃষ্ঠপোষক। প্রসাদ ঝরঝরে বাংলা লিখত। কলেজের বিতর্ক সভায় যোগ দিয়ে সকলের নজর কাড়ত। এসএফআই প্রার্থী হিসেবে লড়ে জিতেছিল। স্কুলজীবন হোক বা সেন্ট্রাল রোডের আড্ডা, আমাদের মধ্যমণি ছিল প্রসাদই। কলেজের পর প্রসাদ গেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তুলনামূলক সাহিত্যে এমএ করতে।
সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে কয়েক বছর ধরে পরিচিতি লাভ করলেও প্রসাদ কিন্তু শুরুতে তবলা, খোল, ঢোলক বাজাত। শিলচরে তাঁর জুটি ছিল শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার। শুভদা গাইত, প্রসাদ বাজাত। তবে সঙ্গীত ভাবনার জায়গাটি ছিল একেবারে স্বচ্ছ। যাদবপুরে তার বিকাশ। রাজীব, বাবলু, উত্তমদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা। ‘দোহার’-এর জন্ম।
আরেকটা বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। কলকাতায় গিয়ে অনেকেই যখন ‘সিলেটি’ পরিচয়ে অস্বস্তি বোধ করে, প্রসাদ সেখানে গর্বের সঙ্গে বলতেন, ‘‘আমি সিলেটি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy