দুর্ঘটনাগ্রস্ত পুলকারটি। —নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার পর এবার হুগলিতে। ফের একটা পুলকারে আগুন লেগে গেল। যদিও চালকের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে পড়ুয়ারা। শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ব্যান্ডেলের মানসপুর এলাকায়। তবে বারবার পুলকারের এই দুর্ঘটনায় ফলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকেরা। আটক করা হয়েছে পুলকারের চালককে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে গাড়িটির কাগজপত্রও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে ব্যান্ডেল কাজিডাঙার বাসিন্দা নিমাই পাল রোজকারের মত নিজের মারুতি গাড়িতে ব্যান্ডেলের এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছয় ছাত্রীকে বিভিন্ন এলাকা থেকে তুলেছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর নিজের মেয়েও। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ সপ্তম ছাত্রীটিকে গাড়িতে তোলার জন্য মানসপুর এলাকায় তাঁর বাড়ির সামনে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন নিমাইবাবু। ছাত্রীটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ির সামনে আসতে তিনি গাড়ি চালু করতে যান। তখনই গাড়ির স্টিয়ারিং-এর নীচের দিকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বেরোতে দেখেন। অবস্থা বেগতিক বুঝে তৎক্ষণাৎ গাড়ি থেকে সমস্ত ছাত্রীদের নামিয়ে দেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই স্ফুলিঙ্গ বড় আকার ধারণ করে। দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে গাড়িটি। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরা বালতি করে জল এনে গাড়িতে ঢালতে থাকেন। এরপর দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে গাড়িটি ভস্মীভূত হয়ে যায়। পুলকারে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই অবিভাবকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সকলেই স্কুলে স্কুলে খবর নিতে শুরু করেন যে তাদের বাচ্চারা ঠিকমত স্কুলে পৌঁছেছে কিনা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পুলকারের ছাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের অনেকে নিমাইবাবুকে ফোন করেও খবর নেন।
আরও পড়ুন: ইংরেজবাজারে খুন ব্যবসায়ী দম্পতি-সহ ৩, তদন্তে সিআইডি
জেলা আঞ্চলিক পরিবহন অধিকর্তা সুজয় সাধু জানান, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন স্কুলের সামনে আমরা ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালাচ্ছি। বেশ কয়েকটি গাড়ি আটক করা হয়েছে। পুলকার থেকে অটো-টোটো সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর)কোটেশ্বর রাও জানান,‘‘পরিবহণ দফতরের সহযোগিতায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy