বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল চেয়ারপার্সন তথা রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ঠাকুরবাড়িতে বৈঠকে করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। এ প্রসঙ্গে মমতাবালা জানান, বনগাঁর পরিস্থিতি নিয়ে সেখানে শীঘ্রই সভা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্যই জ্যোতিপ্রিয়কে মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়েছেন। কর্মসূচি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।
রাজ্য ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ঠাকুরনগরে আমরণ অনশনে বসেন মমতাবালা এবং তাঁর অনুগামীরা। অসুস্থও হয়ে পড়েন। এসআইআর নিয়ে মতুয়াদের একাংশের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। এই আবহে বনগাঁয় জনসভা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তৃণমূলের একটি সূত্র বলছে, জনসভার তারিখ বা সময় এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে খুব শীঘ্রই ঠাকুরনগরে মুখ্যমন্ত্রীর সভা হতে পারে। এ কথা জানিয়েছেন মমতাবালাও। তিনি বলেন, ‘‘দিদি (মমতা) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে পাঠিয়েছিলেন। তিনি চাঁদপাড়া, ঠাকুরনগরের মানুষজনকে নিয়ে কর্মসূচি করতে চাইছেন। প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তার পরে সিদ্ধান্ত হবে।’’ তার পরেই মমতাবালা জানান, এটা রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড়মাকে ভালবাসতেন। তিনি আগেও এসেছেন। এসআইআর নিয়ে যে মারাত্মক সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দিদি আশ্বাস দিয়েছেন।’’
আরও পড়ুন:
বৈঠকের পরে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘মতুয়া ভাইদের চোখে জল। মমতাবালা অনশনে বসেছেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মতুয়া ভাইরা অসুস্থ। তখন লন্ডনে রয়েছেন এক জন। মতুয়ারা বিচার করবেন। কিছু বলার নেই। মমতা যত ক্ষণ আছেন, এর শেষ দেখে ছাড়বেন।’’ প্রসঙ্গত, এসআইআরের বিরুদ্ধে মমতাবালা যখন অনশন করছিলেন, তখন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিদেশে সপরিবারের ভ্রমণের একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। নাম না করে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেন জ্যোতিপ্রিয়। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভোটার তালিকায় নাম বাদ দেওয়ার অধিকার কে দিয়েছে? ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে সকলে থাকতে পারেন।’’