Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Arvind Kejrwal

AAP vs TMC: বাংলায় আপের পদার্পণ যাত্রার প্রয়োজন নেই, বললেন ফিরহাদ হাকিম

কলকাতার মেয়রের এমন মন্তব্যের জবাবে পশ্চিমবঙ্গ আপের পর্যবেক্ষক সঞ্জয় বসু বলেন, ‘‘তিনি তাঁর দলের কথা বলেছেন। আমরা বাংলায় গিয়ে আমাদের কথা বলব। মানুষ গ্রহণ করলে, আমরা বাংলায় থাকব। না গ্রহণ করলে থাকব না।’’

বাংলায় বিজেপি-কে হারাতে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন নেই! অরবিন্দ কেজরীবালের দলের কর্মসূচিকে নাম না করে জবাব ফিরহাদ হাকিমের।

বাংলায় বিজেপি-কে হারাতে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন নেই! অরবিন্দ কেজরীবালের দলের কর্মসূচিকে নাম না করে জবাব ফিরহাদ হাকিমের। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২২ ১৯:৪২
Share: Save:

পঞ্জাব দখলের পর অরবিন্দ কেজরীবালের আপের লক্ষ্য কী পশ্চিমবঙ্গ? এমন প্রশ্ন উঠে গিয়েছে তাদের একটি কর্মসূচির ঘোষণা। রবিবার ১৩ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গ আপ শুরু করছে তাঁদের ‘পদার্পণ যাত্রা’। কিন্তু শাসক দল তাদের এই কর্মসূচিকে বাংলায় নিষ্প্রয়োজন বলেই দাবি করেছে। শনিবার আপের কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম আপের নাম মুখেও আনেননি। বরং কৌশলে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের যে আর লড়াই করার শক্তি নেই, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আর বিজেপি-কে রুখতে মমতাই যে একমাত্র শক্তি, তা পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’’ ফিরহাদ আরও বলেছেন, ‘‘এখন সব আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের জন্য শক্তি যোগানো।’’

কলকাতার মেয়রের এমন মন্তব্যের জবাবে পশ্চিমবঙ্গ আপের পর্যবেক্ষক সঞ্জয় বসু বলেন, ‘‘উনি ওঁর দলের কথা বলেছেন। আমরা বাংলায় গিয়ে আমাদের কথা বলব। মানুষ গ্রহণ করলে, আমরা বাংলায় থাকব। না গ্রহণ করলে থাকব না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বিজেপি-র বিরুদ্ধে ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। আর আমরা পঞ্জাবে ৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছি। তাই মনে রাখতে হবে, বাংলার সংখ্যাগুরু মানুষ কিন্তু তৃণমূলের বিরুদ্ধেই।’’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বাজেট পেশ করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর শনিবার সেই বাজেটের সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আপ। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ঋণে জর্জরিত বলে আক্রমণ করা হয়েছে। সঙ্গে সমাজকল্যাণ প্রকল্প ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতেও যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তারও উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতীয় রাজনীতিতে মমতা কেজরীবালের সঙ্গে একাধিক বার বিজেপি বিরোধী মঞ্চ ভাগ করে নিয়েছেন। কিন্তু পঞ্জাব দখলের পর অরবিন্দের দলের বাংলায় পদক্ষেপ যে তৃণমূল ভাল ভাবে নেয়নি, তা ফিরহাদের বক্তব্যেই স্পষ্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE