অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
ফের ত্রিপুরা যেতে পারেন অভিষেক। একের পর এক নেতার হেনস্থার প্রতিবাদে ফের সরব হতে ২২ অগস্ট তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পাড়ি দিতে পারেন আগরতলায়।
একের পর এক তৃণমূল নেতা ত্রিপুরায় গিয়ে শাসকদল বিজেপি-র হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি, প্রশাসনের অসহযোগিতার শিকার হচ্ছেনতাঁরা। সোমবার আগরতলা গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেছেন, হোটেলে তাঁকে খাবার দেওয়া হয়নি।রাতে হোটেলের ‘পাওয়ার কাট’ করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
আবার বুধবার ত্রিপুরায় গিয়ে হোটেল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘হোটেল ঢুকতে দেওয়া হল না প্রাক্তন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলা হল, ‘‘চাপ আছে। ঘর দিতে পারব না,’’ অপরও দুটি হোটেলের একই হাল। কোনওক্রমে একটি হোটেল পাওয়া গিয়েছে। গণতন্ত্র নেই। ত্রিপুরায় তৃণমূলের নেতা, কর্মীদের নিরাপত্তাও নেই।’
গত ৭ অগস্ট ত্রিপুরার আমবাসায় আক্রান্ত হন তৃণমূলের যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও যুবনেত্রী জয়া দত্ত। তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়েছিল। সেই সময় কালবিলম্ব না করেই ৮ অগস্ট ত্রিপুরা ছুটে গিয়ে তাঁদের জামিনের বন্দোবস্ত করিয়েছিলেন অভিষেক। সঙ্গে আহত নেতা-নেত্রীদের চিকিৎসা করাতে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন। ওই সময়ই ত্রিপুরাতেই অভিষেক জানিয়েছেন, প্রতি মাসেই ত্রিপুরা আসবেন। সাংগঠনিক ভাবে ঋতব্রত ও কুণালের পাশাপাশি, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মলয় ঘটক ও প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তীকে ত্রিপুরার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেভাবে দলীয় প্রতিনিধিরা ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তাতে অগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহেই ফের আগরতলা যেতে পারেন অভিষেক। ১৫ অগস্ট খেলা হবে দিবস পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হন তৃণমূলের আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ও রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। তাই তৃণমূল সূত্রে খবর, এমন পরিস্থিতি দেখেই ২২ তারিখে ফের আগরতলায় যেতে পারেন অভিষেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy