শীতরাতের কুয়াশা। সেই সঙ্গে তীব্র গতি। এই দুইয়ের যোগফলেই গাড়িটা নয়ানজুলিতে ছিটকে প়ড়ে ঢুকে গেল কালভার্টের নীচে। প্রাণ গেল দুই যুবক বন্ধুর। লংড্রাইভে বেরিয়ে টাকি ঘুরে কলকাতায় ফিরছিলেন তাঁরা।
শনিবার রাত ১১টা নাগাদ মিনাখাঁর মালঞ্চ সেতু থেকে দ্রুত গতিতে নামার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, এক যুবক ঘটনাস্থলেই মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর সঙ্গীকে রবিবার ভোরের দিকে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যান তিনি। মৃতদের নাম স্নেহাশিস দাস ও অরিজিৎ রায়চৌধুরী। নব নালন্দা স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী দুই যুবকেরই বয়স ৩১ বছর। অরিজিৎ নিউ টাউনে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। স্নেহাশিস পেশায় সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার। রূপম ইসলামের ফসিলস ব্যান্ডের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শব্দপ্রযুক্তিও নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। দু’জনে বেরিয়েছিলেন অরিজিতের বড় গাড়িতে। স্নেহাশিস গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাসন্তী হাইওয়ের কয়েক গজ দূরে বিদ্যাধরী নদীর উপরে মালঞ্চ সেতু। কিছুটা ধনুকের মতো বাঁকা ঢাল বেয়ে নেমেছে সেতুটা। পুলিশের ধারণা, ঘন কুয়াশায় সম্ভবত সেতুর ঢাল ঠিকঠাক খেয়াল করতে পারেননি গাড়িচালক। গাড়ি বেশ জোরেই চলছিল বলে পুলিশের অনুমান। রাস্তার ধারে শুকনো নয়ানজুলির উপরের একটি ছোট কালভার্টের নীচে গড়াতে গড়াতে ঢুকে যায় গাড়িটি। পরে ভাঙাচোরা গাড়ির দরজা কুড়ুল দিয়ে কেটে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা দুই আরোহীকে বার করে আনেন।