দিলীপ ঘোষ এবং বাবুল সুপ্রিয়ের উপস্থিতিতে কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের (মাঝে) বিজেপিতে যোগদান। নিজস্ব চিত্র
খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, বেআইনি অস্ত্র রাখা-সহ মোট ১৪টি অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় নামে আসানসোলের সেই বাসিন্দা শুক্রবার কলকাতায় বিজেপির রাজ্য দফতরে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এই যোগদানকে সামনে রেখে বিজেপিকে বিঁধেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির দাবি, সবই ‘মিথ্যা অভিযোগ’।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা যায়, কৃষ্ণেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি থানায় ওই অভিযোগগুলি রয়েছে। তার মধ্যে শুধু হিরাপুর থানাতেই রয়েছে আটটি অভিযোগ। তবে প্রতিটি মামলাতেই এই মুহূর্তে জামিনে মুক্ত তিনি।
পুলিশ জানায়, ২০১৬-য় ইস্কোর এক ঠিকাদারের কাছ থেকে তোলা চেয়ে মারধর, কিছু দিন পরে আসানসোলের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে তোলা চাওয়া এবং মারধরের অভিযোগে নাম জড়ায় কৃষ্ণেন্দুবাবুর। পাশাপাশি, বার্নপুর রোডের এক ব্যবসায়ীকে তাঁর আবাসন থেকে বার করে দিয়ে জবরদখলের অভিযোগেও নাম জড়ায় কৃষ্ণেন্দুবাবুর। এ ছাড়া, ২০১৭-য় বার্নপুরের ক্যাটারিং ব্যবসায়ী খুনের অভিযোগও রয়েছে কৃষ্ণেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে তাঁর ‘ডেরা’ থেকে প্রচুর অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের কথাও জানিয়েছিল পুলিশ। বেশ কয়েকবার নানা অভিযোগে জেল হেফাজতেও থাকতে হয়েছে কৃষ্ণেন্দুবাবুকে।
কৃষ্ণেন্দুবাবুর বিজেপিতে যোগদানের প্রসঙ্গটি সামনে এনে সরব হয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর কথায়, ‘‘নানা অপরাধে অভিযুক্ত, অপরাধীদের মতো লোকজনকে নিয়ে চলতেই বিজেপি অভ্যস্ত।’’ তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক দিলীপ দে। তাঁর কথায়, ‘‘কৃষ্ণেন্দুবাবু অনেক দিন ধরেই আমাদের দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করছিলেন। তাই তৃণমূল ভয় পেয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে একের পরে এক মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে।’’ একই বক্তব্য কৃষ্ণেন্দুবাবুরও। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল ছেড়ে দেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এখন আমার লক্ষ্য, এলাকায় বিজেপির সংগঠনকে মজবুত করা।’’
কৃষ্ণেন্দুবাবুর দলে যোগদান প্রসঙ্গে বাবুলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘জেলায় তৃণমূলের অন্যতম সাহসী নেতা কৃষ্ণেন্দুবাবু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে রাজ্য ও জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।’’ তবে জিতেন্দ্রবাবুর দাবি, ‘‘কৃষ্ণেন্দুবাবুর অপকর্ম প্রকাশ পেতেই তাঁকে দল থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy