বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের। মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির রক্তদান শিবিরে এসে আবার বিতর্কে জড়ালেন শঙ্করকুমার নাথ। মঞ্চে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পা ছুঁয়ে প্রণাম করার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে শোভনদেবকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন শঙ্কর। বক্তব্য থামিয়ে এগিয়ে যান তিনি। উপচার্য বলেন, “আমি মাননীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের অনেক নাম শুনেছি। কিন্তু ওঁর কাছাকাছি যাবার কোনও সুযোগ হয়নি কখনও। আমি ওঁর পা ধরে প্রণাম করতে চাই।”
এর পরই তাঁর সুবিদিত সৌজন্যের পরিচয় দেন শোভনদেব। প্রণাম করার আগেই উপাচার্যের হাত ধরে নেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার পরিবারে অনেক শিক্ষক আছেন। আমার স্ত্রী শিক্ষক। আমার বৌমা শিক্ষক। আমার বাবা শিক্ষক ছিলেন। আমি শিক্ষকদের অনেক শ্রদ্ধা করি। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম না করে, হাতজোড় করেও প্রণাম করা যায়।”
শোভনের কথা মতো উপাচার্য হাত জোড় করেই তাঁকে প্রণাম করেন। পাল্টা হাতজোড় করে সৌজন্য দেখান মন্ত্রী শোভনদেবও।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। এর আগেও বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন উপাচার্য শঙ্করকুমার। একটি অনুষ্ঠানে ক্রিকেট তারকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনে ‘একাধিক’ নারীর উপস্থিতি নিয়ে কৌতুক করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ান তিনি। রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করে সৌরভ জানান, তাঁর জীবনে তাঁর মা, স্ত্রী এবং মেয়ের অবদান আছে।
এ ছাড়াও তাঁর আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্মে ধর্মের উল্লেখ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কখনও সাংবাদিকদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে থাকা কুকুরের তুলনা করার অভিযোগ ওঠে। কখনও আবার রাজ্য সরকারের মনোনীত ‘রেজিস্ট্রার’ কে খারিজ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। আবার কখনও শাসকদলের বিধায়কের ঢালাও প্রশংসা করেছেন। এমনকি, গণেশ পুজোর দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণেশ পুজো করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন শঙ্কর। সেই নিয়েও কম বিতর্ক হয়েনি। মঙ্গলবার একেবারে মন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণামের ইচ্ছা প্রকাশ করে আবার একটি বিতর্ক সৃষ্টি করেন তিনি।