Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

রুদ্রনীলের বাবার দেহ রেললাইনের ধারে

অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের বাবার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোরে পাঁশকুড়া স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (৭৪) নামে ওই বৃদ্ধের দেহ। শনিবার রাতে রুদ্রনীল দেহটি শনাক্ত করেন। রবীন্দ্রনাথবাবু থাকতেন হাওড়ার জগাছায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৬ ০২:২১
Share: Save:

অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের বাবার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোরে পাঁশকুড়া স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (৭৪) নামে ওই বৃদ্ধের দেহ। শনিবার রাতে রুদ্রনীল দেহটি শনাক্ত করেন। রবীন্দ্রনাথবাবু থাকতেন হাওড়ার জগাছায়। প্রাথমিক ভাবে রেলপুলিশের অনুমান, পাঁশকুড়া-হাওড়া লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

রেল পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ পাঁশকুড়া স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের অদূরে হাওড়াগামী রেললাইনের উপর এক বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল ও ডান হাত কাটা অবস্থায় ছিল। তাঁর কাছে পরিচয়পত্র বা ট্রেনের টিকিট মেলেনি। তবে দেহের পাশে পড়ে থাকা কিছু কাগজে পাওয়া ফোন নম্বরে ওই দিন সকালে যোগাযোগ করা হলে এক ব্যক্তি নিজেকে ঘাটালের বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দেন। ঘটনার কথা শুনে তিনি জানান, তাঁর কোনও আত্মীয় নিখোঁজ নন। কেউ শনাক্ত না করায় ওই দিন দেহ ময়না তদন্তের পর তমলুক জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।

পাঁশকুড়া জিআরপি থানার সাব-ইনস্পেক্টর অমলকুমার বেরা জানান, শনিবার সকালে ঘাটালের ওই ব্যক্তি তমলুকে এসে জানান তিনি রবীন্দ্রনাথবাবুর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। যদিও মর্গে গিয়ে তিনি বৃদ্ধের দেহ চিনতে পারেননি। অমলবাবু বলেন, ‘‘শনিবার রাতে জানা যায়, রুদ্রনীলের বাবা নিখোঁজ রয়েছেন। ওই রাতেই তিনি এসে বৃদ্ধের পরনের জামা-প্যান্ট দেখে প্রাথমিক ভাবে দেহ শনাক্ত করেন। পরে মর্গে গিয়ে উনি বাবার মৃতদেহ শনাক্ত করেন। তবে মৃত্যু নিয়ে তিনি কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।’’

রবিবার রুদ্রনীল বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার, পঞ্চমীর দিন বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রাতে উনি বাড়ি না ফেরায় ভেবেছিলাম, হয়তো কারও বাড়িতে থেকে গিয়েছেন। শুক্রবার সকালেও না ফেরায় আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ নিই। কোথাও সন্ধান না মেলায় জগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করি।’’ শনিবার জগাছার বাড়ির এক ভাড়াটে ফোনে তাঁকে ঘটনার কথা জানান। রবীন্দ্রনাথবাবু পাঁশকুড়া পর্যন্ত কী ভাবে চলে এলেন, তার উত্তর অবশ্য নেই রুদ্রনীলের কাছেও। তাঁর কথায়, ‘‘বাবা শিল্পী মানুষ। বরাবরই খামখেয়ালি ভাবে ঘোরাফেরা করতেন। বিভিন্ন জায়গায় যেতেন, নিজের মতো থাকতেন। এটা একটা দুর্ঘটনা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Body Found Rudranil Ghosh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE