ছবি: সংগৃহীত।
তিনি দলের অনুগত। কাছাকাছি এলাকা থেকে দলের এক সময়ের অনুগতরা দল ছাড়লেও তিনি দলের হাত মজবুত করেছেন। তাই তিনিই আাগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী। বেলডাঙায় কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদ সভা করতে এসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “আমার ভাই সফিউজ্জামান আবার আপনাদের আশীর্বাদ, দুয়া পাবেন। তিনি আবার এমএলএ হিসাবে ফিরে আসবেন।” অধীর বলেন, ‘‘ওরা (বিরোধীরা) সফিকে হারানোর চেষ্টা করবে। আপনাদের কিন্তু কংগ্রেসের পতাকা ওড়াতে হবে।’’ মুর্শিদাবাদের ২২টি বিধানসভার মধ্যে বেলডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রে জোটের প্রার্থী হিসাবে বর্তমান কংগ্রেস বিধায়ক সফিউজ্জামানই প্রথম প্রার্থী
হিসাবে ঘোষণা।
নির্বাচন ঘোষণার অনেক আগে এই ঘোষণা কংগ্রেসকে অন্তত এই কেন্দ্রে এগিয়ে রাখল। যেখানে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিরোধী তৃণমূল ও বিজেপি অনেক পিছিয়ে।
অধীর বুঝিয়েও দিয়েছিলেন যে, তিনি অনেক আগে থেকেই নির্বাচনের মাঠে নামতে চান। গত ৬ জানুয়ারি বেলডাঙা পেট্রোল পাম্প থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার মিছিল করেন তিনি। পরে বেলডাঙার জনকল্যাণ ময়দানে জনসভা করেন। সেখান প্রচুর মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন।
বেলডাঙার বিধায়ক কংগ্রেসের সফিউজ্জামান বলেন, “আমি দাদার পাশের চেয়ারে বসেছিলাম। এই ঘোষণা আমিও শুনেছি। সেই মতই প্রস্তুতি শুরু করেছি।” তিনি বলেন, আমরা প্রস্তুতি হিসাবে বিভিন্ন অঞ্চলে দেওয়াল লেখা, অঞ্চল সম্মেলন, বুথ স্তরের বৈঠক শুরু করেছি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। গত ২৩ জানুয়ারি মহুলা ১ বিধানসভার সন্মেলন ছিল। বেলডাঙা শহর কংগ্রেসের সভাপতি কিশোর ভাস্কর বলেন, “সেই ’৫১ সাল থেকে বেলডাঙা বিধানসভায় ভোট হচ্ছে। কেউ সফিউজ্জামানের মতো ভোট পায়নি। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি ৮৭ হাজার ভোট পান।’’ তৃণমূলের গোলাম কিবরিয়া ৫৬ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। তাই দু’জনের প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ফারাক ছিল। কিশোরের দাবি, ‘‘সেই ফারাক এবার আরও বাড়বে। কারণ কংগ্রেস মনে করছে, গত বারের থেকে বামের সঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট আরও মজবুত।’’ অনেক আগে থেকেই কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট এক সঙ্গে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি একটি মিছিলও হয়েছে। সেই মিছিল বেলডাঙা শহর ও গ্রামাঞ্চল প্রদক্ষিণ করেছে।
তা ছাড়া চলতি মাসে বেলডাঙা পুরসভা এলাকার একটি সমবায় সমিতির ভোটে কংগ্রেস ও বাম জোট বদ্ধ ভাবে লড়াই করেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ফলে এ বারও তারা এই আসন দখল করবে। বেলডাঙার পাশের বিধানসভা রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী কংগ্রেসের টিকিটে জিতে তৃণমূলে গিয়েছে। পাশে নদিয়ার কালীগঞ্জের বিধায়ক কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন বেলডাঙার বাসিন্দা হাসানুজ্জামান। কিন্তু তিনিও দল বদল করে তৃণমূলে যান। সেই একই স্থানে বেলডাঙার কংগ্রেস বিধায়ক সফিউজ্জামান কংগ্রেসেই থেকেছেন। সেই পুরস্কার তিনি পাচ্ছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy