Advertisement
E-Paper

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ঘরোয়া কোটা নয় কলকাতায়

যাদবপুরে ‘ডমিসাইল কোটা’ চালু করার সময়েই প্রশ্ন উঠেছিল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কি এই ধরনের সংরক্ষণ চালু করবে?

মধুমিতা দত্ত 

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২০ ০৪:২৬
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ‘ডমিসাইল কোটা’ বা রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা পড়ুয়াদের জন্য নির্দিষ্ট সংরক্ষণের নিয়মবিধি চালু হয়েছে। কিন্তু আলোচনা শুরু হলেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে ওই ঘরোয়া কোটা চালু করার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই সেখানকার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এ বারেও ভর্তি নেওয়া হবে চলতি নিয়মেই।

যাদবপুরে ‘ডমিসাইল কোটা’ চালু করার সময়েই প্রশ্ন উঠেছিল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কি এই ধরনের সংরক্ষণ চালু করবে? রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল বেরিয়েছে শুক্রবার। শীঘ্রই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য কাউন্সেলিং শুরু হবে। মার্চে লকডাউনের আগে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগীয় প্রধানদের বৈঠকে ঘরোয়া কোটার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। অধিকাংশ বিভাগীয় প্রধানই কোটার পক্ষে মত দেন। নিয়ম অনুযায়ী তার পরে বিষয়টি ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলে যাওয়ার কথা। সেখানে যে-প্রস্তাব নেওয়া হয়, সিন্ডিকেটে সেই ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই দস্তুর। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবে সেই আলোচনা আর এগোয়নি। রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস জানান, এই কোটার ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিনের কাছ থেকে প্রস্তাব আসার কথা। তেমন প্রস্তাব তাঁদের কাছে এখনও আসেনি।

গত বছর যাদবপুরে সংরক্ষণের সিদ্ধান্তে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর সম্মতি দেয়। যাদবপুরে এই রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য ৯০% সংরক্ষণ চালু হয়ে যায়। গত বছর জানুয়ারিতে উপাচার্যদের এক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাংলার মেধা যাতে বাংলাতেই থাকে, তা দেখা দরকার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর, তাদের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ন’টি বিভাগে প্রায় ২৫০ আসন আছে। বিভাগীয় প্রধানদের বৈঠকে রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য ৮০% আসন সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনাও হয়েছিল।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন্‌ রাজ্যের যে-সব পড়ুয়া জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ভাল র‌্যাঙ্ক করে এসে ভর্তি হচ্ছেন, পরে বিভিন্ন পরীক্ষায় তাঁদের অনেকেই ভাল ফল করতে পারছেন না। একই সমস্যার কথা ওঠে যাদবপুরে। অভিযোগ উঠেছিল, ভিন্‌ রাজ্যের পড়ুয়াদের অনেকেই ক্লাসে পড়া ঠিকঠাক বুঝতে পারেন না। কিছু ক্ষেত্রে হিন্দিতে পড়ানোর দাবিও তোলেন অনেকে। বহু পড়ুয়ারই পরীক্ষার ফল ভাল নয়। ক্যাম্পাসে ‘নীতি-পুলিশির’ সঙ্গেও তাঁদের কেউ কেউ যুক্ত বলে অভিযোগ।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষকের বক্তব্য, করোনা আবহে বিশ্ববিদ্যালয় তো প্রায় বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে আর ভাবনাচিন্তা করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের এক আধিকারিক জানান, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ভিন্‌ রাজ্য বা বিদেশের কত পড়ুয়া আছেন, তা-ও দেখা হয়। বাইরের পড়ুয়া বেশি হলে র‌্যাঙ্কিংয়ে অসুবিধা হতে পারে। এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফোন এবং মেসেজ করেও উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

University Of Calcutta Education
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy