মৌসুমি বায়ু সময়ের আগেই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের এখনও কোনও নামগন্ধ নেই। মাঝে কয়েক দিন ঝড়বৃষ্টি হলেও ফের ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল দশা শহরবাসীর। সেই আবহেই সুখবর শোনাল আলিপুর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, চলতি সপ্তাহেই ফের গতি পেতে পারে মৌসুমি বায়ু। আবহাওয়ার মতিগতিও বদলাতে পারে শীঘ্রই। এর প্রভাবে চলতি সপ্তাহ থেকেই বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি চলবে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাধারণত জুনের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে বর্ষা ঢুকে যায় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। কিন্তু এ বার ১০ তারিখ পেরিয়ে গেলেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের কোনও পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে না। তবে ১৪ জুন মৌসুমি বায়ু আবার কিছুটা গতি পেতে পারে। ফলে তার পর দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। অক্ষরেখা উত্তরপ্রদেশ থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে ছত্তীসগঢ়, মধ্য ওড়িশা হয়ে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ ছাড়া, বঙ্গোপসাগরের উপরেও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এই দুইয়ের সম্মিলিত প্রভাব পড়তে পারে ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায়। সে কারণেই আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর। একই সঙ্গে থাকবে ভ্যাপসা গরমও। কলকাতায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বুধবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কমবেশি ঝড়বৃষ্টি হবে। বুঝবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং নদিয়ায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই জেলাগুলির পাশাপাশি বাঁকুড়াতেও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
অন্য দিকে, উত্তরের জেলাগুলিতে সারা সপ্তাহ জুড়েই বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। শনিবার পর্যন্ত উত্তরের সব জেলাতেই ঝড়বৃষ্টি হবে। রবিবার থেকে শুরু হবে ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার)। রবিবার থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে একটানা ভারী বৃষ্টি চলবে।