—ফাইল চিত্র।
হাওড়া আদালতের আইনজীবীদের উপরে লাঠি চালিয়ে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পুলিশ কিছুটা বাড়াবাড়ি করেছে বলে মেনে নিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)। ওই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দায়ের করা মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার এজি কিশোর দত্ত বলেন, ‘‘অবরোধকারী আইনজীবীদের হটাতে পুলিশ অন্য ব্যবস্থাও নিতে পারত।’’
বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এজি এ দিন জানান, হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনারের রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশের ডিজি তাঁর হলফনামা পেশ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, হাওড়া পুরসভার এক কর্মী এবং এক পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশকে বলপ্রয়োগ করতে হয়। বিচারপতি সমাদ্দার তা শুনে এজি-র উদ্দেশে মন্তব্য করেন, ‘‘মাত্র দু’জনকে উদ্ধার করতে গিয়ে এত বলপ্রয়োগ করতে হবে?’’ বিচারপতির এই প্রশ্নের পরেই এজি জানান, তিনি মেনে নিচ্ছেন, পুলিশ কিছুটা বাড়াবাড়ি করেছে।
এজি জানান, ২৪ এপ্রিল বিকেল ৫টার পরে যে-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে জেলা জজের অনুমতি নিয়ে হাওড়া আদালতের ভিতরে ঢোকার মতো সময় পুলিশের হাতে ছিল না। সম্ভবত পুলিশের আর কোনও উপায়ও ছিল না।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এজি-র বক্তব্য শুনে বিচারপতি সমাদ্দার প্রশ্ন করেন, ‘‘এমন ঘটনা বিধানসভার ভিতরে ঘটলে কী করতেন? অধ্যক্ষের অনুমতি নিতে হত না? তা ছাড়া হাওড়া আদালতের ভিতরে আইনজীবীদের জমায়েত বৈধ ছিল, নাকি অবৈধ, জেলা জজের কাছে গিয়ে আগে পুলিশ অফিসারেরা তা জানার চেষ্টা করেছিলেন কি?’’
২৪ এপ্রিল হাওড়া পুরসভার কর্মী ও হাওড়া আদালতের আইনজীবীদের সংঘর্ষের জেরে পুলিশ লাঠি চালায় এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। হাওড়া বার অ্যাসোসিয়েশন ও রাজ্যের পক্ষ থেকে সেই ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ হাইকোর্টে পেশ করা হয়। এ দিন সেই ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখেন দুই বিচারপতি। আজ, শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy