E-Paper

দ্বিগুণ করার আশ্বাসে নেওয়া টাকা দেয়নি সংস্থা, ভাঙচুর

বছরখানেক আগে রেয়াপাড়ায় একটি অফিস করেন অনুপ। তাঁর বাড়িও রেয়াপাড়াতেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:২৬
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রাজ্যে সারদা, রোজভ্যালি-সহ একাধিক বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারণা এখনও লোকের মনে টাটকা। তবু আমানতকারীর অভাব হয়নি। কারণ, প্রলোভন ছিল চড়া সুদের। এক বছরে টাকা দ্বিগুণেরও টোপও ছিল বলে অভিযোগ। তবে সময়ে টাকা ফেরত না পেয়ে আমানতকারীরা বুধবার ভাঙচুর করলেন প্রতিশ্রুতি দেওয়া অর্থলগ্নি সংস্থার অফিসে। সংস্থার কর্তা অনুপ দাসি পলাতক। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার ঘটনা।

বছরখানেক আগে রেয়াপাড়ায় একটি অফিস করেন অনুপ। তাঁর বাড়িও রেয়াপাড়াতেই। অফিস খুলে অনুপ প্রথমে কয়েক জনকে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে মাসিক ২১ হাজার টাকা সুদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। অভিযোগ, কয়েক জনকে এক বছরে টাকা দ্বিগুণ করার প্রলোভন দেখিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে নিয়েছিলেন অনুপ। মুখে মুখে ছড়ায় তাঁর প্রস্তাব। নন্দীগ্রাম ছাড়াও এগরা, মহিষাদল, হলদিয়া চৈতন্যপুর, চণ্ডীপুর এবং হাওড়া জেলার শ্যামপুরেও অফিস খুলেছিলেন তিনি।

মূলত, শেয়ার বাজারে লগ্নি করে আমানতকারীদের টাকা শোধ করতেন অনুপ। তিন মাস ধরে শেয়ার বাজারে খুব একটা ঊর্ধ্বগতি না হওয়ায় লোকসানে পড়েন। তিন মাস ধরে প্রতিশ্রুতি মতো টাকা দিতে পারেননি, এমনই অভিযোগ আমানতকারীদের একাংশের। এমনকি, যে সব আমানতকারীকে স্ট্যাম্প পেপারে এক বছরে টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি তাঁরাও কিছু পাননি।

এ দিন সকালে রেয়াপাড়ার অনুপের বাড়িতে চড়াও হন আমানতকারীদের একাংশ। অভিযোগ, রেয়াপাড়ার অফিসে ভাঙচুর করেন তাঁরা। রেয়াপাড়ার বিশ্বজিৎ বেরা বলেন, ‘‘সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। জানুয়ারি মাস থেকে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। অনুপ দাসির বাড়ি গিয়েও মেলেনি টাকা। বাধ্য হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। আমার দাবি, কোনও সুদ দেওয়ার দরকার নেই। আসল টাকাটা মিটিয়ে দেওয়া হোক।’’ যদিও এলাকায় অনুপ-ঘনিষ্ঠ কেউ কেউ দাবি করছেন, সব আমানতকারীর আসল টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুদ বাবদ টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। শেয়ারবাজারে লোকসান হওয়ার জন্যই টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (হলদিয়া) অরিন্দম অধিকারী বলেন, ‘‘বেশ কিছু আমানতকারী অনুপ দাসির বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানাতে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nandigram

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy