সারদা-সহ বিভিন্ন লগ্নিসংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআই এবং ইডি-র তদন্তকে ‘কেন্দ্রীয় চক্রান্ত’-র তকমা দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। কার্যত একই অভিযোগ তুলে এ বার রাস্তায় নামলেন রোজ ভ্যালির কর্মী-এজেন্টরা, যার মধ্যে দু’পক্ষে আঁতাঁতের ছায়া দেখছে বিরেধীরা। আর রবিবার দুপুরে ধর্মতলায় ওই বিক্ষোভ সমাবেশের জেরে যানজটের শিকার হয়ে ভোগান্তি পুইয়েছে আমজনতা।
রোজ ভ্যালির কর্মীদের অভিযোগ, তিন মাস ধরে অধিকাংশের বেতন বন্ধ। এজেন্টরাও টাকা পাচ্ছেন না। এরই সুরাহার দাবিতে এ দিনের সমাবেশ। দাবি ওঠে, কোর্টের নির্দেশে রোজ ভ্যালির ‘সিল’ করা সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে হবে। পাশাপাশি সংস্থার বিক্রয়যোগ্য সম্পত্তি, বিশেষত জমি-জমা বিক্রির অনুমতি দিতে হবে, যার মাধ্যমে আমানতকারীদের বকেয়া ফেরানো যাবে।
এবং ছুটির দিনে যানজট বাধিয়ে সাধারণের দুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সেই সমাবেশে জনসমাগমের বহর দেখে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে শাসকদল তৃণমূলই, যে কারণে পুলিশি ছাড়পত্র মিলতেও অসুবিধে হয়নি। ‘‘এটা আসলে ভোটের আগে তৃণমূলের রোজ ভ্যালি শাখার সভা।’’— কটাক্ষ করছেন বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা গোড়া থেকে বলেছি, সিপিএম হল চিটফান্ডের পিতা, তৃণমূল মাতা। তৃণমূল মাতৃস্নেহে রোজ ভ্যালিকে লালন-পালন করেছে।’’ সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘আড়ালে থেকে কারা এ সব করাচ্ছে, মানুষ কি আর বুঝতে পারছে না? ফুলের গন্ধে চতুর্দিক ভরে উঠছে।’’ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের প্রতিক্রিয়া, ‘‘তৃণমূল নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছেন, সিবিআই-বিরোধিতায় সরাসরি রাস্তায় নামলে এ বার দলের স্বীকৃতি বাতিল হতে পারে। তাই রাজনৈতিক রং ছাড়া এঁদের নামিয়েছেন।’’ মান্নানের পর্যবেক্ষণ, পাড়ায় পাড়ায় খোঁজ নিলে দেখা যাবে, বিক্ষোভকারীরা তৃণমূলেরই কর্মী।