খাদ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ কোঅর্ডিনেশন কমিটির। —নিজস্ব চিত্র।
শুরু হয়ে গেল কর্মী বিক্ষোভ। বেতন কমিশনের সুপারিশ সাড়ে তিন বছরেও জমা না পড়ার প্রতিবাদে এবং কেন্দ্রীয় হরে রাজ্যের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার পথে নামল রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটি। রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘেরাও করা হল সরকারি দফতর। রাজ্য সরকার যে ভাবে আরও ৭ মাস বাড়িয়ে দিয়েছে বেতন কমিশনের সুপারিশ, তাতে বিভিন্ন দলের ছাতার তলায় থাকা কর্মী সংগঠনগুলি এ বার একযোগে আন্দোলনে নামতে পারে বলেও কয়েকটি সংগঠন জানিয়েছে।
বেতন কমিশনের সুপারিশ জমায় দেরি এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না পাওয়ার প্রতিবাদে ২৮ মে অর্থাৎ মঙ্গলবার ঘেরাও কর্মসূচি যে নেওয়া হবে, তা আগেই ঘোষণা করেছিল সিপিএমের ছাতার তলায় থাকা সরকারি কর্মী সংগঠনটি। কিন্তু বেতন কমিশনের মেয়াদ আরও ৭ মাস বাড়িয়ে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত সোমবার ঘোষিত হয়, তার পরে এই কর্মসূচি আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। সর্বশক্তি দিয়ে কর্মসূচি সফল করতে নামে কোঅর্ডিনেশন কমিটি।
মঙ্গলবার দুপুরে সরকারি দফতরগুলির টিফিন বিরতিতে ঘেরাও শুরু করেন কর্মীরা। বেতন কমিশনের অফিস যেখানে, সেই বিকাশ ভবনেও দুপুর দেড়টা থেকে দুটো পর্যন্ত ঘেরাও কর্মসূচি চলেছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০টি জায়গায় সরকারি দফতরে এ দিন ঘেরাও ও বিক্ষোভে অংশ নেন কর্মীরা। কর্মসূচি কোঅর্ডিনেশন কমিটির ব্যানারে ছিল, কিন্তু আইএনটিইউসি অনুমোদিত কনফেডারেশন বা বিজেপির কর্মচারী পরিষদের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাও কোথাও কোথাও এ দিন এই বিক্ষোভে সামিল হন।
আরও পড়ুন: আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী দলের তকমাও পাবে না তৃণমূল, দাবি মুকুলের
বেতন কমিশনের সুপারিশ জমা না দিয়ে মেয়াদ ফের বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সোমবার যখনই ঘোষিত হয়েছিল, তৎক্ষণাৎ এক সুরে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপির কর্মী সংগঠন। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড় আন্দোলনে যাওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল সব সংগঠনের তরফেই। কংগ্রেস তথা আইএনটিইউসি অনুমোদিত কনফেডারেশনের তরফে সুবীর সাহা জানিয়েছিলেন, কোঅর্ডিনেশন কমিটি এবং কর্মচারী পরিষদকে সম্মিলিত আন্দোলনে নামার ডাক দেওয়া হবে। কর্মচারী পরিষদের তরফে দেবাশিস শীল জানিয়েছিলেন, কর্মীদের স্বার্থে অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আন্দোলনে নামতেও আপত্তি নেই। এ দিন কোঅর্ডিনেশনের ঘেরোও কর্মসূচিতে কিন্তু কর্মীদের মধ্যে ঐক্যের আঁচ কিছুটা মিলেওছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিংহ বলেছেন, ‘‘আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy